সুপারহাইপড ছবি সলমন খান অভিনীত ‘রাধে’ মুক্তি পেয়েছিল ওটিটিতে। বিদ্যা বালান অভিনীত ‘শেরনি’র ক্ষেত্রেও বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মকেই। তালিকা আরও লম্বা। ভূজ থেকে শুরু করে মিমি– করোনা আবহে ভরসা ওটিটিই, কারণ, সিনেমা হল বন্ধ। প্রশ্ন সঞ্জয় লীলা বনসালির বিগ বাজেট ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ও কি মুক্তি পাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে? কী জানা যাচ্ছে…
এ নিয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক বনসালি । একটি বাক্যও খরচ করা হয়নি প্রযোজনা সংস্থার তরফেও। তবে সাম্প্রতিক খবর, ইতিমধ্যেই নাকি বেশ কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পরিচালকের কাছে ছবিটির ডিজিটালি মুক্তির অফার নিয়ে পৌঁছেছে। তবে পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বনসালি নাকি এই ছবির ওটিটি মুক্তিতে একেবারেই নারাজ।
ভন্সালী মানেই বিশাল আকার শুটিং সেট, তাই তাঁর যুক্তি, এ ছবি কোনও ভাবেই ছোট পর্দার জন্য নয়। তাঁর ব্যপ্তি বিশাল। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা নিয়ে বারেবারেই সরব হচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমতাবস্থায় কী করবেন পরিচালক? ঘনিষ্ঠ সূত্রের কথায়, “যত সময়ই লাগুক না কেন, ছবিটি বড় পর্দায় মুক্তি অপেক্ষা করবেন সঞ্জয়।”
ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আলিয়া ভাটকে। দিন কয়েক আগেই ছবি শুটিং শেষ করেছেন তিনি। শুটিং শেষে এক আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন আলিয়া। তিনি লিখেছিলেন, ” দু’টো লকডাউন, দুটি সাইক্লোন এবং ফিল্মের প্রধান অভিনেতা পাশাপাশি পরিচালক কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শুটিং শেষ করা একেবারে সহজ ছিল না। আলিয়া লেখেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গাঙ্গুবাইয়ের শুটিং শুরু করেছিলা … এবং আমরা এখন ২ বছর পরে ছবিটি শেষ করলাম! এই ফিল্ম এবং সেটটি দুটি লকডাউন … দুটি সাইক্লোনের মধ্য দিয়ে হয়েছে… পরিচালক এবং অভিনেতা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন!” তিনি আরও বলেন যে সব সমস্যার মধ্যে দিয়ে ফিল্মটি গিয়েছে তা বলতে আরেকটি ছবি হয়ে যাবে।
থমবার সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার নিয়ে আলিয়া লেখেন ‘স্যরের নির্দেশনায় কাজ করা আমার সারাজীবন স্বপ্ন ছিল, তবে আমি যে যাত্রা শুরু করেছিলাম তার জন্য কোনও কিছুই এই দু’বছরে আমাকে প্রস্তুত করতে পারেনি, বলে আমি মনে করি। আমি এই সেট থেকে বেরিয়ে এসেছি একজন অন্য মানুষ হয়ে! স্যর, আমি আপনাকে ভালবাসি! আপনাকে আপনার মতো থাকার জন্য ধন্যবাদ … সত্যিই আপনার মতো আর কেউ হয় না।’
আরও পড়ুন- দু’টি কিডনিই বিকল, বাড়িতে আগুন লেগে সব শেষ, হাসপাতালে ভর্তি টেলি অভিনেত্রী