Taapsee Pannu: কার মেসেজ পেয়ে আনন্দিত, অনুপ্রাণিত হলেন তাপসী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Oct 17, 2021 | 12:30 PM

Taapsee Pannu: ‘রেশমী রকেট’-এ এক অ্যাথলিটের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাপসী পান্নু। তার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ছিল তাঁর। শারীরিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করেছিলেন।

Taapsee Pannu: কার মেসেজ পেয়ে আনন্দিত, অনুপ্রাণিত হলেন তাপসী?
তাপসী পান্নু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

একটা পাথুরে জায়গায় বসে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। হাতে ধরা মোবাইল। কিছু একটা দেখে হাসছেন তিনি। কী দেখছেন, তা নিজের ছবি সঙ্গেই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ হেন ছবির ক্যাপশনে তাপসী লিখেছেন, ‘আপনাদের সুন্দর সুন্দর মেসেজ পড়ে হাসছি। জি ফাইভে আমাদের ছবি রেশমি রকেট দেখেছেন আপনারা। আমাদের পরিশ্রম যে আপনাদের ভাল লাগছে, সেটা জেনে আনন্দ পাচ্ছি। আমরা চেয়েছিলাম এই ছবিটা দেশের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়ুক। যাতে শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ছবিটা দেখতে পারে। আমার ভাল লাগছে রেশমির মাধ্যমে আমরা একে অপরের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছি। এ ভাবেই ভালবাসা দিন আমাদের। এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

‘রেশমী রকেট’-এ এক অ্যাথলিটের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাপসী পান্নু। তার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ছিল তাঁর। শারীরিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করেছিলেন। সে কারণে ট্রোলিংও সামলাতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু একজন অ্যাথলিটের শারীরিক গঠন যে কতটা আলাদা হয়, তা এই ছবিটা করতে গিয়ে বুঝেছেন নায়িকা। বিকিনি বডি এবং অ্যাথলিট বডির পার্থক্য এ বার প্রকাশ্যেও শেয়ার করেন তিনি। ‘রেশমি রকেট’-এর এই শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য কোনও রকম স্টেরয়েডের সাহায্য নেননি তাপসী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিকিনি বডি এবং অ্যাথলিট বডির মধ্যে প্রচুর পার্থক্য। বিকিনি বডিই হয়তো দর্শক দেখতে চান। আমি চেহারা অ্যাথলিটের মতো ছিল না। সেটা তৈরি করতে হয়েছে। আমি কখনও বিকিনি বডি তৈরি করলে দর্শক দেখতে চাইবেন না বলেই আমার মনে হয়।”

বেশ কিছু বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দেওয়ার পর যে কোনও সমালোচনাকেও পজিটিভ ভাবে দেখার চেষ্টা করেন তাপসী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যে সব সমালোচনা শুনতে হয়েছে, তা শোনার পর ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ঠাণ্ডা মাথায় নিজের কাজ করে গিয়েছেন। তাপসীর কথায়, “আমি প্রথমে তো কাজটা ভাল জানতাম না। সেটা শিখেছি সময় নিয়ে। কাজের সময় আমি নিজেকে খুব সিরিয়াসলি নিই না। কিন্তু কাজ আমার কাছে সিরিয়াস। আপনি আমাকে নিয়ে মজা করতে পারেন। কিন্তু আমার ওয়ার্ক এথিক্স নিয়ে কথা বললে আমি ছেড়ে দেব না।”

নিজের কাজটা এতটাই মন দিয়ে করেন তাপসী, কখনও তা তাঁর ব্যক্তি জীবনেও নাকি প্রভাব ফেলে। তিনি জানিয়েছেন, ‘পিঙ্ক’-এ ৩২ দিন শুটিং করার পর নিজেকে ধর্ষণের শিকার বলে মনে হত। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাস্তায় কোনও ভিক্ষুক তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে অথবা টিভিতে জাতীয় সঙ্গীত শোনানো হচ্ছে দেখে তাপসী কেঁদে ফেলতেন। ছোট ছোট বিষয় যার সঙ্গে তাঁর সরাসরি সম্পর্ক নেই, সেটাও তাঁকে প্রভাবিত করত। ফলে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়ে নিজেকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন, বাস্তবে তিনি ধর্ষণের শিকার নন। ফলে তাপসীর মতে, যে কাজের সঙ্গে তাঁর এতটা পরিশ্রম জড়িয়ে রয়েছে, তাতে যাঁরা গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন না, তাঁদের পাত্তা দিতে চান না তিনি।

আরও পড়ুন, Nusrat Jahan: সোশ্যাল পোস্টে বন্ধু বিচ্ছেদের পরোক্ষ ইঙ্গিত দিলেন নুসরত?

Next Article