পুষ্পা যে ‘ফুল’ নয় তা সংলাপেই বলেছিলেন আল্লু অর্জুন। গাল ভর্তি দাঁড়ি, চোখে আগুন, মনে সাহসের অন্য নামই পুষ্পা। এই পুষ্পারই আইকনিক এক স্টেপ নিয়েই এখন মাতামাতি গোটা বিশ্ব। ক্রিকেটার থেকে আমজনতা– একটু সাফল্য মিললেই থুতনিতে হাত বুলিয়ে করে ফেলছেন পুষ্পা স্টাইলে ‘মেক্সিকান ওয়েভ’। তবে যদি আপনাকে বলা হয় এই স্টেপের স্রষ্টা আদপে শেহনাজ গিল, আপনি বিশ্বাস করবেন?
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো কিন্তু বলছে এমনটাই। পুষ্পা মুক্তির বেশ কয়েক বছর আগে গোটা বিগবস হাউজেই মাঝেমাঝেই এরকম স্টেপ করে বেরিয়েছেন শেহনাজ। শেহনাজের ফ্যান পেজ থেকেই এখন শেয়ার করছে সেরকমই কিছু ক্লিপিংস। লেখা হচ্ছে, ‘আমাদের শেহনাজ তো এরকমটা ২০১৯-এই করেছে।” সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হলেন কি ‘পুষ্পা’ নির্মাতারা? উঠছে প্রশ্ন, ছড়াচ্ছে মিম।
পুষ্পা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। বাইশ গজ থেকে গল্লি ক্রিকেট– অশ্বিন থেকে শাকিব সবাই মেতে পুষ্পা ম্যাজিকে। করোনাকালেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল প্রেক্ষাগৃহে। মুক্তির তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। সে সময় রমরমিয়ে চলছিল ‘স্পাইডারম্যান’।
হলিউড ওই সুপারহিরোকে টেক্কা দিয়ে বাজার কতটা দখল নিতে পারবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু মুক্তির পর দেখা গেল, শুধু দখল নেওয়াই নন, বক্সঅফিসে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছবিটি। দক্ষিণী ছবি হয়েও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ৪ টি ভাষায় মুক্তি পাওয়া ছবি। এরই মধ্যে মুক্তি পায় রণবীর সিংয়ের ‘৮৩’। পুষ্পার ক্যারিশ্মার কাছে ফিকে হয়ে যায় ওই ছবিও। বিশ্বকাপি বিজয়ের নস্টালজিয়ার থেকেও আল্লুর ‘সোয়াগ’ মনে ধরে সিনেপ্রেমীদের প্রায় সিংহভাগের। অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দনকাঠের চোরাকারবারিকে কেন্দ্র করেই এই ছবি। ছবিতে আল্লু অর্জুন ছাড়াও রয়েছেন রশ্মিকা মন্দনা, ফাহাদ ফাসিল।
সম্প্রতি করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় নির্মাতারা সত্ত বিক্রি করেছেন অ্যামাজন প্রাইমের কাছে। সেখান থেকেও প্রযোজকদের লাভের খাতায় যোগ হয়েছে বড় ধরনের অঙ্ক। অন্যদিকে ওই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ছবিতে সাধারণ শ্রমিক থেকে আল্লুর গ্যাংস্টার হিসেবে উত্থান দেখানো হয়েছে আর বাস্তবে করোনা-অতিমারিকে সামনে রেখেও এক দক্ষিণী ছবির সারা দেশে গ্রহণযোগ্যতা প্রত্যক্ষ করছে নেটিজেন।