Ditipriya Roy: টিভির পর্দা থেকে সিনেমা-ওটিটি, এতগুলো বছরে কতটা পাল্টালেন দিতিপ্রিয়ার?
Ditipriya Roy: স্কুলের গণ্ডি পেড়নোর আগেই রানীমা হয়ে উঠে যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, তিনি আজ টলিপাড়ার অন্যতম অভিনেত্রী। তবে রানী রাসমণি ধারাবাহিক শেষ হবার পর তিনি নিয়েছিলেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
দিতিপ্রিয়া রায়, ছোট থেকেই অভিনয় জগতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পোক্ত। অভিনয় করতে চেয়েছিল দিদিপ্রিয়া স্কুল বয়েস থেকেই। মন প্রাণ ঢেলে যে সে অভিনয়টাই করতে জানেন, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দিয়েছে বহুবার। স্কুলের গণ্ডি পেড়নোর আগেই রানীমা হয়ে উঠে যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, তিনি আজ টলিপাড়ার অন্যতম অভিনেত্রী। তবে রানী রাসমণি ধারাবাহিক শেষ হবার পর তিনি নিয়েছিলেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নিজের সেই রাণীমা তকমা ঝেরে নতুন নতুন চরিত্র হয়ে ওঠে প্রমাণ করবেন নিজেকে। আর সেই দক্ষতা প্রমাণ করতে সময় লাগেনি খুব বেশি দিন। বর্তমানে দিতিপ্রিয়া বড় পর্দা থেকে ওটিটি সঙ্গে অভিনয় করছেন। শৈশবে সেই রাণী মা থেকে বর্তমানে রাশি বন্দ্যোপাধ্যায়, কতটা তফাৎ এসেছে নিজের মধ্যে, এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানালেন দিতিপ্রিয়া।
ছোটবেলায় খুব একটা রাগ ঢাক করে কথা বলতে পারতেন না তিনি। ভালকে ভাল, খারাপকে খারাপ, যা অপছন্দ তাঁর সব জানিয়ে দিতে মুখের ওপর। তার জেরে বেশ কিছু সমস্যাতেও পড়তে হতো তাঁকে। এখন বিষয়টা পাল্টে গিয়েছে। এখন কোনও জিনিস যদি মনের মতো না হয়, দিতিপ্রিয়া বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন। আর একবার ভেবে দেখার অনুরোধটুকুই জানেন মাত্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধুমাত্র এটুকুই বদল এসেছে তাঁর। এর বাইরে দিতিপ্রিয়া ঠিক যেমন তেমনটাই নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন প্রতি মুহূর্তে। ভাল কাজ ভাল চরিত্র ব্যক্তিগত জীবন কর্মজীবন দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে হাসিমুখে কাজ করে যাওয়াটাই এখন তাঁর লক্ষ্য। পাশাপাশি চান মানুষের সমস্যায় বিপদে সাধ্যমত পাশে থাকতে। এটা তাঁকে বড্ড বেশি আনন্দ দেয়। দিথিপ্রিয়ার কথায় তাঁর পরিবারটাই এমন মানসিকতার, যার ফলে তিনি ও এই ভাবেই ভাবেন। পর্দার সামনে অভিনয়টাই করতে পছন্দ করেন পর্দার পেছনে খুব সাধারণ জীবন যাপন করাটাই পছন্দ করেন দিতিপ্রিয়া। তবে তাঁর মধ্যে এর বাইরে কোনও বদল আসেনি বলেই দাবি করেন তিনি।