রাস্তায় ভিক্ষা করে একটা ক্রিম রোলের টাকা শোধ করেছিলেন পল্লবী!
জি বাংলা-এ একটা টক শো হোস্ট করেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সেখানে এসে টলিপাড়ার বিভিন্ন তারকারা মজার সব গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন। শাশ্বত একবার পল্লবী চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, "তুই নাকি একবার ভিক্ষা করে টাকা শোধ করেছিলি?'' উত্তরে পল্লবী তাঁর আর দাদা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের শাস্তি পাওয়ার একটা গল্প বলেছেন।

জি বাংলা-এ একটা টক শো হোস্ট করেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সেখানে এসে টলিপাড়ার বিভিন্ন তারকারা মজার সব গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন। শাশ্বত একবার পল্লবী চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, “তুই নাকি একবার ভিক্ষা করে টাকা শোধ করেছিলি?” উত্তরে পল্লবী তাঁর আর দাদা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের শাস্তি পাওয়ার একটা গল্প বলেছেন।
নাকতলার বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। ছোটবেলায় একজন ক্রিম রোল বিক্রি করতে আসতেন। পল্লবী আর প্রসেনজিত্ মাকে না বলে টাকা না দিয়ে ক্রিম রোল খেয়েছিলেন। পরদিন সেই বিক্রেতা এসে আগের দিনের ক্রিম রোলের পাওনা টাকা চান। তখন প্রসেনজিত্ আর পল্লবীর ডাক পড়ে। প্রথমে পল্লবী সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন যে তিনি মাকে না বলে ক্রিম রোল খেয়েছেন। আর প্রসেনজিত্ কেঁদে ফেলেছিলেন মায়ের কাছে।
এরপর শাস্তির পাল্লা। পল্লবী বলেন, ”তখন আমার পুরোনো হয়ে যাওয়া জামা তোলা থাকত। হয়তো ছোট হয়ে গিয়েছে বলে আর পরি না। ওরকম একটা জামা পরিয়ে মা বলেছিলেন, রাস্তায় গিয়ে ভিক্ষা করে আসতে। যাতে ক্রিম রোলের টাকা শোধ করতে পারি। আমি রাস্তায় গিয়ে একদম ভিক্ষা করতে শুরু করে দিই। পাড়ার সকলে কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁরা যে টাকা দিয়েছিলেন, তা দিয়ে ক্রিম রোলের টাকা শোধ করার পর বাকিটা আবার আমি রেখে দিয়েছিলাম। দাদা কিন্তু ভিক্ষা করতে লজ্জা পাচ্ছিল।”
আসলে মা দুই সন্তানকে কড়া শাসনে মানুষ করার জন্যই এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পুরোনো দিনের এই কথার অংশ সোশ্যাল মিডিয়াতে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে।
