সিমির দরজায় মধ্যরাতে টোকা পাতৌদির, তারপর…
এরপর আর সিমির দিকে ঘুরে তাকাননি মনসুর। শর্মিলাকে বিয়ে করেন তিনি। অন্যদিকে ১৯৭০ সালে সিমিও বিয়ে করেছিলেন রবি মোহনকে। তবে খুব অল্প দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।

মনসুর আলি খান পতৌদি– নবাব পরিবারের সন্তান তিনি। বাইশগজেও যেমন ছক্কা হাঁকিয়েছেন, ঠিক তেমনই তাঁর প্রেমজীবনও বেশ রঙিন। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন ছিল সুখের। তবে জানেন কি শর্মিলা তাঁর জীবনে এক এবং অদ্বিতীয় প্রেম নয়! জীবনে বারেবারে প্রেম এসেছে নবাবের। এর মধ্যে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রীরাও। এমনই এক অভিনেত্রী হলেন সিমি গারেওয়াল। সিমির সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই শর্মিলার প্রতি অনুরাগ বোধ করেন মনসুর। তবে অনুরাগের কথা লুকিয়ে রাখেননি তিনি। তৎকালীন প্রেমিকাকে কী করে জানিয়েছিলেন সে কথা! শুনলে বিশ্বাস হবে না।
‘টাইমস অব ইণ্ডিয়া’র রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ব্যস্ত মুম্বইয়ের এক গভীর রাত। আচমকাই সিমির ফ্ল্যাটে হাজির হন মনসুর। দরজায় দেন টোকা। দরজা খুলে যায়, ভিতরে সিমি। খুব বেশি সময় নেন না মনসুর। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ক্ষমা করে দিও। শুধু একটাই কথা বলার ছিল। অন্য কাউকে ভাল লাগছে।’ না, সিমি সেদিন ঝামেলা করেননি। ঘটনার অভিঘাতে আরও খানিক শান্ত হয়ে যান তিনি। চুপ করে শোনেন মনসুরের কথা। এরপর মনসুরকে এগিয়ে দিতে লিফটের দিকে অগ্রসর হন। মনসুর বারবার বারণ করতে থাকেন। তবে সিমি রাজি হননি। শেষ বিদায়ে এগিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। লিফটের দিকে এগোতেই থমকে যান সিমি। শর্মিলা দাঁড়িয়ে সেখানে। তিনজনের মধ্যে এক অদ্ভুত নীরবতা। সম্পর্কের ইতি, নতুন সম্পর্কের শুরু।
না, এরপর আর সিমির দিকে ঘুরে তাকাননি মনসুর। শর্মিলাকে বিয়ে করেন তিনি। অন্যদিকে ১৯৭০ সালে সিমিও বিয়ে করেছিলেন রবি মোহনকে। তবে খুব অল্প দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। অন্যদিকে মনসুর আমৃত্যু সংসার করে গিয়েছেন শর্মিলার সঙ্গে।
