Exclusive: চর্চায় রণিতা-সৌপ্তিক জুটি, ‘দেবী’র হাত ধরেই কি ভাঙা মন জুড়লো?
Devi: রণিতা -সৌপ্তিকের আসন্ন ছবির নাম 'দেবী'। যেখানে এক ভিন্নস্বাদের চরিত্রে ধরা দিতে চলেছেন পর্দার বাহা। বরাবরই বাছাই করে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। 'দেবী' চরিত্রটাকে জেনে তাঁর বেশ ভাল গেলেছিল। মণিহারা ছবির হাত ধরে এই সফর শুরু হয়েছিল রণিতা-সৌপ্তিকের।

বরাবরই জুটি হিসেবে চর্চিত রণিতা দাস ও সৌপ্তিক চক্রবর্তী। দর্শকেরা তাঁদের একসঙ্গে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে বারবার। যদিও সম্পর্কের টানাপোড়েনের জল্পনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতেই পছ্দ করেন তাঁরা। কাজ আর কেরিয়ারের পথে কখনই ইগোকে বাধা হতে দেননি তাঁরা। তাই ‘দেবী’র কাজ যখন শুরু করেছিলেন, তখন তাঁরা প্রথম থেকেই জানতেন, এটা তাঁদের জন্যে বড় সুযোগ। রণিতা -সৌপ্তিকের আসন্ন ছবির নাম ‘দেবী’। যেখানে এক ভিন্নস্বাদের চরিত্রে ধরা দিতে চলেছেন পর্দার বাহা। বরাবরই বাছাই করে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। ‘দেবী’ চরিত্রটাকে জেনে তাঁর বেশ ভাল গেলেছিল। মণিহারা ছবির হাত ধরে এই সফর শুরু হয়েছিল রণিতা-সৌপ্তিকের।
মণিহারাকে দর্শকেরা যেভাবে ভালবাসা দিয়েছে, সেই দিকে নজর রেখেই ‘দেবী’র কাজ শুরু করেন জুটি। মণিহারার এই সিক্যুয়েলের খবর ছড়িয়েছে আগেই। ফলে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ এবার অপেক্ষায়, TV9 বাংলাকে জানালেন জুটি। রণিতার কথায়, “আমাদের সম্পর্কটা বেশ অদ্ভুত। আমাদের মধ্যে যাই হোক না কেন, কোন কাজ আসলে, সঙ্গে সঙ্গে কে অন্যকে ফোন করে বলে থাকি, এই কাজটা এসেছে, এটা করতে হবে। এখন কাজের সুযোগ খুব কম। সেখানে দাঁড়িয়ে যদি ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে শুরু করি, তবে কাজটা করব কবে?”
পুরো দমে চলছে এখন ‘দেবী’র কাজ। বড় দায়িত্ব এখন সৌপ্তিকের কাঁধে। হাসতে হাসতে পরিচালক বললেন, “আমি বরাবরই ইন্ডাস্ট্রির ওই ক্লাসরুমের বাইরে থাকা ছেলেটা। এখনও ভেতরের হয়ে উঠতে পারিনি। আর সেখান থেকে যতটা দেখতে পাই, বুঝতে পারি, কাজ হওয়াটা দরকার। এখনই তো সময়। দর্শকদের পাতে নতুন কিছু তুলে দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। তবে আমি সব সময় মাথায় রাখার চেষ্টা করি প্রযোজকের সমস্যাগুলো। টাকা যেন নষ্ট না হয়। নয়তো প্রযোজকেরা বিশ্বাস হারাবেন। সেই মর্যাদাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।” ছবিতে রণিতা ছাড়াও রয়েছেন, অঞ্জনা ভৌমিক, সোমরাজ মাইতি, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে রমরমিয়ে চলছে শুট। এখন দেখার, ‘দেবী’ লুকে রণিতা দর্শক মনে কতটা জায়গা করে নিতে পারে?
