রকস্টার রূপম ইসলামের এবার ৬০ নম্বর একক! কী বলছেন শিল্পী?
শিল্পী রূপম জানালেন, “৬০তম ‘একক’ অনেক অর্থেই ‘খাস’। ১২ বছর মানে হল একটা যুগ। সেই দিক থেকে ১২বছর ধরে মূলত অপরিচিত গান গাইবার বিকল্প মঞ্চ গড়ে তুলতে পেরেছি, যা 'ফসিলস'-এর তুমুল জনপ্রিয়তার প্রতিস্পর্ধী এবং প্রতিটি ‘একক’ পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের সম্মান পেয়েছে— এটাই একটা খাস ব্যাপার।”

বাংলার রকস্টার রূপম ইসলাম। ‘ফসিলস’-এর শো, প্লেব্যাক সব কিছু নিয়েই তুমুল ব্যস্ততা রয়েছে তাঁর। তবে ‘একক’ অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত করেন না দর্শকদের। ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, জি. ডি. বিড়লা সভাঘরে অনুষ্ঠিত হবে রূপমের ‘একক’ সঙ্গীত পরিবেশনা। যেখানে মঞ্চে তিনি একা, গাইবেন মূলত সেসব গান যা নিয়মিত গাইবার সুযোগ নেই। এটা ‘একক’ সিরিজ়ের ৬০তম আসর। শিল্পী রূপম জানালেন, “৬০তম ‘একক’ অনেক অর্থেই ‘খাস’। ১২ বছর মানে হল একটা যুগ। সেই দিক থেকে ১২বছর ধরে মূলত অপরিচিত গান গাইবার বিকল্প মঞ্চ গড়ে তুলতে পেরেছি, যা ‘ফসিলস’-এর তুমুল জনপ্রিয়তার প্রতিস্পর্ধী এবং প্রতিটি ‘একক’ পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের সম্মান পেয়েছে— এটাই একটা খাস ব্যাপার।”
২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি, রূপম ইসলামের ৩৯তম জন্মদিনে মাত্র ৫০ জন শ্রোতা নিয়ে এক অন্তরঙ্গ সমাবেশ হিসেবে শুরু হওয়া ‘একক’ এখন শহর কলকাতার অন্যতম উল্লেখযোগ্য লাইভ কনসার্ট। রূপম ইসলামের এই অনুষ্ঠান তার স্বকীয়তায় এবং তীক্ষ্ণতায় মন জয় করেছে অগুনতি সঙ্গীতানুরাগীর। এখানে শিল্পী স্টেজে সম্পূর্ণ একা। গিটার, কিবোর্ড, ইউকুলেলে এবং হারমোনিকার মাধ্যমে শ্রোতাদের সঙ্গে সঙ্গীতের ঊর্ধ্বে এক বন্ধন তৈরি করেছেন। গত ১২ বছরের ৬০টা ‘একক’ সম্পর্কে এটা বলাই যায়, রূপম ইসলামের ‘একক’ সামগ্রিকভাবে তাঁর অনুরাগীদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। প্রেম এবং ক্ষতি, অবিচার এবং প্রতিরোধ, বিশ্বাস এবং ভণ্ডামি, বৃহত্তর কিছুর জন্য সংগ্রাম— এই বিষয়গুলো গানের হাত ধরে ‘একক’-এর পরিবেশনায় উঠে আসে, গান এবং দর্শনকে জীবন্ত করে তোলে। ২০১৩ সালের ২৫শে মে, আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে তাঁর দ্বিতীয় ‘একক’ কনসার্টে কলকাতা ক্লাসিক্যাল গিটার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা অভীক সাহা এগিয়ে এসে ঘোষণা করেন, “বিপ্লব এসে গেছে।” মাঝে লকডাউনের সময়েও থেমে থাকেনি ‘একক’-এর জয়যাত্রা। অনলাইন একক আয়োজিত হয়েছিল, তাঁর নিবেদিতপ্রাণ অনুরাগীদের চাহিদায়, বারবার। তাঁর নিজের থাকার ঘর তখন রূপান্তরিত হয়েছিল স্টুডিওতে। অন্তর্জাল-মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ অনুরাগীর সঙ্গে যুক্ত থাকেন রূপম। অনলাইন হলেও লাইভ পারফরম্যান্সগুলো গুণগত মানের দিক থেকে আপোসহীন ছিল। এতটা পথ পেরিয়ে ৬০তম অনুষ্ঠান যে বিশেষ হতে চলেছে, সেটা আঁচ করা যায়।





