R G KAR: ‘রাতবিরেতে শুটিং, দারোয়ান যদি ধর্ষণ করে দেয়!’ আতঙ্কিত শ্রুতি
শ্রুতির প্রশ্ন ক্ষমতার কাছে। তাঁর কথায়, "আমরা যখন আউটডোর করি, শুটিং করে যখন মেকআপ ভ্যানের ভিতর একা বসে থাকি তখন তো স্টুডিয়োর একটা দারোয়ান এসে রেপ করে দিয়ে চলে যেতে পারে। তাহলে কি আমরা শুটিং করা বন্ধ করে দেব? আমরা যারা টেলিভিশন আর্টিস্ট তাঁদের প্রত্যেক দিন কাজ করতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার দায় কে নেবে?"

ওরা ভীত, ওরা আতঙ্কিত– যা তিলোত্তমার সঙ্গে হয়েছে তা যে কাল তাঁদের সঙ্গে হবে না সেই গ্যারান্টি দেবে কে? ওরা টলিপাড়ার শিল্পীরা। ওরা অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের মতো মানুষেরা। ভয়ে কাঁপছেন শ্রুতি। কথা বলতে গিয়ে চোখ ফেটে বেরিয়ে আসছে কান্না। নির্যাতিতার বিচার তো বটেই একই সঙ্গে বছর ২৭-এর অভিনেত্রীর প্রশ্ন, “শুটিং করে যখন মেকআপ ভ্যানের ভিতর একা বসে থাকি তখন তো স্টুডিয়োর একটা দারোয়ান এসে রেপ করে দিয়ে চলে যেতে পারে। তাহলে?”
রবিবার সন্ধেবেলা রাজপথ দখল করেছিলেন ছোটপর্দার শিল্পীরা। বিচার চেয়ে বৃষ্টিভেজা রাজপথে সামিল হয়েছিলেন অনেকেই। সে যেন দেখার মতো মিছিল। মোমবাতি হাতে নিছকই মৌনতা নয়, মেকআপের ব্রাশ নিয়ে নেহাতই রিলস ভিডিয়ো বানানোর তাগিদ নয়– উঠেছিল স্লোগান। আর সেই স্লোগানকে ভেদ করে ছাপিয়ে গিয়েছিল শ্রুতির এমন কিছু প্রশ্ন যা শুনলে আপনার মনেও হবে উথালপাথাল।
শ্রুতির প্রশ্ন ক্ষমতার কাছে। তাঁর কথায়, “আমরা যখন আউটডোর করি, শুটিং করে যখন মেকআপ ভ্যানের ভিতর একা বসে থাকি তখন তো স্টুডিয়োর একটা দারোয়ান এসে রেপ করে দিয়ে চলে যেতে পারে। তাহলে কি আমরা শুটিং করা বন্ধ করে দেব? আমরা যারা টেলিভিশন আর্টিস্ট তাঁদের প্রত্যেক দিন কাজ করতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার দায় কে নেবে? আমি অত বড় সেলিব্রিটি নই আমার পিছনে দশটা বাউন্সার ঘোরে না।” এই প্রশ্নের জবাব নেই। ঠিক যেমন এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও তিলোত্তমার দোষীরা পড়েনি ধরা। শ্রুতির কথায়, “এই যা দেখছি তাতে একটুও আশাবাদী নই। রাত দখল করেছি এবার দিনের বেলাতেও পথে নামব। জনজীবন স্তব্ধ করে দেব, কাউকে কাজে যেতে দেব না। না খেতে পেয়ে মরব, পুরো রাজ্যের লোক না খেতে পেয়ে মরবে সেই দিন দেখব কার চোখ খোলে।” সত্যি বলেছেন তিনি। মৌকেক ঢিল পড়তে পারে তাও জানেন। তবে চুপ করে থাকা নয়। তাঁর সাফ জবাব, “আমায় যদি মেরে দেয় তাহলে আমার বাড়ির লোক কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। কার বাবার ক্ষমতা আছে টাকা পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর সেদিন আমরাও দেখে নেব।”
