‘সারেগামাপা’র কলকাতা অডিশনে ঘোর কারচুপি! গৌরবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রতিযোগী

Saregamapa: কলকাতা অডিশন নিয়ে ভয়ানক অভিযোগ তুললেন প্রতিযোগী। সারেগামাপার প্রাক্তন প্রতিযোগী গৌরব সরকারের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ। এই রবিবার কলকাতার এক কলেজে সারেগামাপার অডিশন হয়। সেখানেই বিরাজকৃষ্ণ সাহা নামক এক ব্যক্তি গান গাইতে যান।

'সারেগামাপা'র কলকাতা অডিশনে ঘোর কারচুপি! গৌরবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রতিযোগী
গৌরবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রতিযোগী
Follow Us:
| Updated on: Apr 30, 2024 | 4:47 PM

দাদাগিরি শেষের পথে। আসছে জি বাংলার নতুন শো সারেগামাপা। কিছু দিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই শো’র অডিশন। সেই শো’র কলকাতা অডিশন নিয়ে ভয়ানক অভিযোগ তুললেন প্রতিযোগী।  সারেগামাপার প্রাক্তন প্রতিযোগী গৌরব সরকারের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ। এই রবিবার কলকাতার এক কলেজে সারেগামাপার অডিশন হয়। সেখানেই বিরাজকৃষ্ণ সাহা নামক এক ব্যক্তি গান গাইতে যান। প্রাথমিক ধাপে সেই ব্যক্তির অডিশন নেন গৌরব। বিরাজের অভিযোগ, তাঁর গান ২০-২৫ সেকেন্ডও শোনেননি গৌরব। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর গান শুনে নাকি ব্যঙ্গাত্মক হাসি হাসছিলেন সেই গৌরব। তিনি লেখেন, “ওঁর যে আচরণ দেখলাম , তা একজন সাধারণ ভদ্র-সভ্য মানুষের গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। সময়ের কথা মাথায় রেখে আমি গানটির আলাপ গাইনি , শুধু মুখরার কুড়ি পঁচিশ সেকেন্ড গাওয়ার পরই আমাকে থামিয়ে দেওয়া হল। আমি গাইবার সময়ে উনি এতটাই উদাসীন ছিলেন যে , গানটি মনযোগ সহকারে শোনার পরিবর্তে ওখানে বসে থাকা আর একজনের সঙ্গে হাসাহাসি করছিলেন যা, মনে হল কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক।”

সেই ভদ্রলোকের আরও অভিযোগ, শুধু তিনি নন, গৌরব এই উদাসীনতার শিকার নাকি বাকি প্রতিযোগীও। কারও গানই শোনেননি তিনি। তিনি যোগ করেন, ” এক মিনিটের মধ্যেই সবার অডিশন নেওয়া হয়ে যাচ্ছিল! যাই হোক , কলকাতা অডিশনের এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য বড়ই তিক্ত ও বেদনাদায়ক।” এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চুপ করে থাকেননি গৌরবও।

পাল্টা তাঁর বক্তব্য, “নমস্কার! আমি গৌরব সরকার বলছি, প্রথমত এই কার্ড আমার দেওয়া নয়, কারণ আমি প্রত্যেকটি কার্ড সই সহকারে দিয়েছি আর আমার সাথে যিনি কার্ডে অংশগ্রহণকারীদের নাম লিখছিলেন এটা তার হাতের লেখাই নয়। আমি ঢাকুরিয়া রায় পাড়াতে থাকি ১এ বেচু ডক্টর লেনে বিনায়ক আবাসনে, আপনাদের যাদের মনে হয় আপনাদের গান ভালো হওয়া সত্বেও আপনাদের নেওয়া হয়নি আপনারা আমার বাড়ি এসে লাইভ ভিডিও করে অডিশন দিয়ে সবাইকে দেখান, এতটা অধিকার দিয়ে রাখলাম আপনাদের প্রত্যেককে, এতটাই আমি আত্মবিশ্বাসী নিজের সিলেকশন নিয়ে। আমাকে ভুল প্রমাণিত করলে আমি সঙ্গীত ছেড়ে দেব চিরকালের মতো। আমি গান বাজনার বিষয়ে এতটাই সৎ যে নিজে কোনদিনও এক ফোঁটা সুবিধা কারো কাছে চাইনি আর কাউকে সুবিধা পাইয়েও দিই না।” গৌরবের এই কথায় যদিও মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেরই প্রশ্ন, “এত ক্ষমতা যে বাড়ি থেকেই অডিশন করাবে? নিজের কেরিয়ারই তো ঠিক নেই।”