অনুপমের রূপচাঁদা মাছ ভাজায় নজর দিলেন প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া, গায়ক কি স্বাদে ভাগ বসাতে দিলেন?

রূপচাঁদা মাছ খেয়েছেন? সম্প্রতি সেই মাছ ভাজা তারিয়ে-তারিয়ে খেয়েছেন বাঙালি গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়। এবং শুধু খাননি। তিনি সেই রূপচাঁদা মাছ ভাজার ছবি পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। লোভনীয় সেই মাছভাজাটা দেখতে অনেকটা পমফ্রেটের মতো। সরষের তেলে কড়া করে ভাজা, উপরে বেরেস্তা (কড়া করে পিঁয়াজ ভাজা) ছড়ানো। তিনটে লাল শুক্নো লঙ্কাও সাজানো। কড়া করে ভাজা রূপচাঁদার উপর গন্ধরাজ লেবুর রস ছড়িয়ে দিলে আর কথাই হবে না। তাই একটা গন্ধরাজ লেবুর লম্বা টুকরোও রয়েছে। সাদা-সবুজ সেরামিকের প্লেটে সাজানো মাছ ভাজার ছবি পোস্ট হতেই মন বিচলিত অনুপমের অগুনতি অনুরাগীর। সকলেই মাছ ভাজা চেখে দেখতে আগ্রহী।

কিন্তু এই মাছ ভাজা নিয়ে এত গৌরচন্দ্রিকা কেন? কত কীই না পোস্ট করেন অনুপম তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সবকিছু নিয়ে তো এত অলোচনা হয় না। এই মাছ ভাজায় কী আছে? আছে, আছে। এই মাছভাজায় নজর দিয়েছেন এক বিশেষ ব্য়ক্তি। তিনি আর কেউই নন, অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী গায়ক-সমাজসেবী পিয়া চক্রবর্তী। তিনি লাইক করেছেন অনুপমের পোস্ট।

অনুপমের পোস্ট… পিয়ার লাইক…

পিয়ার এই লাইক অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল। আচ্ছা, বিয়ে ভাঙার পর অনুপম-পিয়া কি একে-অপরের সঙ্গে কথা বলেন? নাকি তাঁরা একেবারেই ‘অচেনা’ ব্যক্তি এখন? উত্তর মিলল এইবার। যতই প্রাক্তন হয়ে থাকুন পিয়া-অনুপম, তাঁরা যে একে-অপরের শুভাকাঙ্খী, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পিয়া বিয়ে করেছেন অনুপমেরই প্রাণের বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর থেকেই মানুষের মনে হয়েছিল এই ত্রিকোণ প্রেমের জন্য হয়তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ অনুপমের সঙ্গে পিয়া-পরমব্রতর। তা যে নাও হতে পারে, সেই জবাব পিয়ার এই ছোট্ট লাইকটা। পরমব্রতকে বিয়ের পর TV9 বাংলাকে পিয়া বলেছিলেন, “আমি সত্যি বলতে অনুপমের শুভাকাঙ্খী। ও ভাল থাকুক, আমি সেটাই চাই সবসময়…।”