Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সাত কোটি টাকা’ দিয়ে সেলেব কেনা প্রসঙ্গে ‘দুই মিত্র’র ফেসবুক বিতণ্ডা, জল গড়াবে আদালতে?

সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন শ্রীলেখা। তিনি লেখেন, "জানতে পারলাম একজন স্টারকে সাত কোটি টাকা দিয়ে বিজেপি তাদের দলে নিয়েছে।" এর পরেই শ্রীলেখার পোস্টে রিমঝিম কমেন্ট করেন, "কাকে?" রিমঝিম আরও লেখেন, "আমি জানি না তাই জিজ্ঞেস করছি। শ্রীলেখা মিত্র আমার কাছে দিদির মতো, তাই ওঁকেই জিজ্ঞাসা করছি। কারণ প্রুফ ছাড়া এরম ডায়রেক্ট অ্যালিগেশন করলে প্রবলেম হতে পারে।"

'সাত কোটি টাকা' দিয়ে সেলেব কেনা প্রসঙ্গে 'দুই মিত্র'র ফেসবুক বিতণ্ডা, জল গড়াবে আদালতে?
'দুই মিত্র'র ফেসবুক বিতণ্ডা
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2021 | 7:18 PM

সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একবার বিস্ফোরক দাবি বামমনস্ক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। সাত কোটি টাকার বিনিময়ে এক সেলিব্রিটির বিজেপিতে যোগদানের অভিযোগ আনলেন তিনি। চুপ করে থাকলেন না বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রও। দিদি’ শ্রীলেখার বিরুদ্ধে রিমঝিমের পাল্টা কমেন্ট-বাণ , যদি শ্রীলেখা উপযুক্ত প্রমাণ না দেখাতে পারেন, তবে আইনি পথে হাঁটবে তাঁর দল।

সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন শ্রীলেখা। তিনি লেখেন, “জানতে পারলাম একজন স্টারকে সাত কোটি টাকা দিয়ে বিজেপি তাদের দলে নিয়েছে।” এর পরেই শ্রীলেখার পোস্টে রিমঝিম কমেন্ট করেন, “কাকে?” রিমঝিম আরও লেখেন, “আমি জানি না তাই জিজ্ঞেস করছি। শ্রীলেখা মিত্র আমার কাছে দিদির মতো, তাই ওঁকেই জিজ্ঞাসা করছি। কারণ প্রুফ ছাড়া এরম ডায়রেক্ট অ্যালিগেশন করলে প্রবলেম হতে পারে।”

প্রসঙ্গত, পোস্টে কোনও সেলেবের সরাসরি নাম নেননি শ্রীলেখা। তবে রিমঝিমের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা শ্রীলেখা লেখেন, “আমি তোকে প্রুফ নিয়েই নামটা বলব”। রিমঝিমও উত্তরে ‘ওকে’ লেখেন। কিন্তু কথোপকথন শেষ হয়নি এখানেই। এর খানিক পরেই আরও একবার শ্রীলেখার কাছে প্রমাণ চেয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে রিমঝিমের কমেন্ট-হুঁশিয়ারি, “নাম এবং প্রমাণ অবশ্যই বোলো। নয়তো লিগাল দিকে যাবে পার্টি।”

 

এ প্রসঙ্গে দুই অভিনেত্রীর সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিল TV9 বাংলা। আইনি পথে যাওয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে শ্রীলেখা বলেন, “আইনি ব্যবস্থা নিলে নিক না। আমার পোস্টেই কংগ্রেসের একটি ছেলেকে জাস্ট দু’টো কমেন্ট আগে ও বলেছে ‘শ্রীলেখা মিত্র আমার দিদির মতো…এর পরেই আইনি ব্যবস্থার কথা। যাই হোক…নির্দিষ্ট কারণ আছে বলেই বলেছি…”। অন্য দিকে, রিমঝিম বললেন, “ব্যক্তিগত সম্পর্ক শুধু যে শ্রীলেখাদি’র সঙ্গে তা তো নয়, আমার দলকেও আমি ভালবাসি। সেটাও আমার ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে নয়। সেই দলের নামে যদি এ সব অভিযোগ দেওয়া হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে প্রমাণ না পেলে অবশ্যই দল ব্যবস্থা নেবে। শ্রীলেখাদি’র কাছে প্রমাণ থাকলে তা অবশ্যই সামনে আনুক।”

 

তবে কি সত্যিই প্রমাণ সহ পোস্টে উল্লিখিত সেই সেলেবের নাম ‘ফাঁস’ করতে চলেছেন শ্রীলেখা? শ্রীলেখার বক্তব্য, “আগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তার পর দেখছি।” ফেসবুকেও রিমঝিমের ‘লিগাল অ্যাকশন’ নেওয়ার কমেন্টে তিনি লেখেন, “যাক জেলে পাঠাক, জেলেই তো পাঠাবে… কিনতে তো পারেনি আমায়… কী করবে বল?”

রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে দুই ‘মিত্র’র মিত্রতা বহুদিনের। এ দিকের ঘটনায় সেখানেও কি ধরবে চিড়? উত্তরে রিমঝিম বললেন, “শ্রীলেখাদি তো খুব ভাল করে জানে ওর পরিচিত অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। উনি যখন প্রমাণ ছাড়া ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিয়ে দিলেন, তার মানে কি ধরে নেব উনিও ব্যক্তিগত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ইচ্ছুক নন? প্রতিপক্ষ দলের প্রতিক্রিয়া আসা তো স্বাভাবিক। কোনও সম্পর্কই কি একদিক দিয়ে থাকে? সম্পর্ক ভাল রাখার দায় তো উভয় তরফেরই।” সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনীতির আগুনের আঁচ আরও একবার টলিপাড়ার অন্দরেও। শ্রীলেখার নিশানায় কোন সেলেব তা জানতেও উদগ্রীব সমস্ত মহল।