AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাইনোকুলার দিয়ে স্ত্রী নার্গিসকে দেখতেন সুনীল দত্ত, কারণ জানলে চমকে যাবেন

এই কঠিন সময়েও নার্গিসের ছায়া সঙ্গী ছিলেন সুনীল দত্ত। নম্রতা জানিয়েছেন, বাবা নিজে নার্গিসকে খাওয়াতেন, পরিষ্কার করতেন, সারাদিন পাশে বসে থাকতেন। বাইরের কাউকে কিছু বুঝতে না দিলেও, একা থাকলে তিনি কাঁদতেন।

বাইনোকুলার দিয়ে স্ত্রী নার্গিসকে দেখতেন সুনীল দত্ত, কারণ জানলে চমকে যাবেন
| Edited By: | Updated on: May 14, 2025 | 7:10 PM
Share

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত, ১৯৮১ সালের মে মাসে যিনি সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান। মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়েছেন তিনি। তাঁর শেষ দিনগুলো ছিল অত্যন্ত যন্ত্রণাময়, যে সময় নিজেকে শক্ত করে সবটা সামলে ছিলেন সুনীল দত্ত। তবে সবসময় তাঁর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন তাঁর স্বামী।

১৯৮০ সালে নার্গিস হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপর তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়। শরীর দ্রুত ভেঙে পড়ছিল নায়িকার, ওজন কমছিল। এরপর নানা টেস্টের পর ধরা পড়ে, তাঁর প্যানক্রিয়াসে (অগ্ন্যাশয়) ক্যানসার হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিউ ইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়।

নার্গিসের মেয়ে নম্রতা একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “মায়ের অগ্ন্যাশয় কেটে ফেলার পর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ডাক্তাররা তাঁকে পাঁচ থেকে ছয়বার অপারেশন করতে বাধ্য হন, কারণ রক্তপাত বন্ধই হচ্ছিল না। শেষে সেলাই করা না গেলে স্ট্যাপল দিয়ে বন্ধ করা হয়। এই প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণার ধকলেই মা কোমায় চলে যান।”

এই কঠিন সময়েও নার্গিসের ছায়া সঙ্গী ছিলেন সুনীল দত্ত। নম্রতা জানিয়েছেন, বাবা নিজে নার্গিসকে খাওয়াতেন, পরিষ্কার করতেন, সারাদিন পাশে বসে থাকতেন। বাইরের কাউকে কিছু বুঝতে না দিলেও, একা থাকলে তিনি কাঁদতেন। এমনকি নার্গিসের ঘর ছিল তাঁদের ঘরের ঠিক উল্টো দিকে। দূর থেকে বাইনোকুলার দিয়ে তাকিয়ে থাকতেন স্ত্রীর দিকে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সব মায়া কাটিয়ে নার্গিস বছর ঘুরতেই চিরনিদ্রায় নায়িকা।