‘চরম অপমান সহ্য করেছি ছোটবেলায়’, মুখ খুললেন সানি লিওনি
ছোটবেলায় হওয়া অপমান নিয়ে মুখ খুললেন সানি লিওনি। বিদেশে বেড়ে ওঠা সানি কীভাবে দিনের পর দিন বর্ণবৈষম্যর শিকার হয়েছেন, তা নিয়েই অকপট তিনি।
ছোটবেলায় হওয়া অপমান নিয়ে মুখ খুললেন সানি লিওনি। বিদেশে বেড়ে ওঠা সানি কীভাবে দিনের পর দিন বর্ণবৈষম্যর শিকার হয়েছেন, তা নিয়েই অকপট তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সানি জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলে সহপাঠীরাই তাঁর ‘লুকস’ নিয়ে নক্কারজনক মন্তব্য করতো প্রতিনিয়ত।
সানি প্রবাসী ভারতীয়। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে ক্যানাডায়। তাঁর আসল নাম করণজিৎ কঊর। তাঁর কথায়, “আমার গায়ের রঙ উজ্জ্বল ছিল। কিন্তু জিনগত কারণেই হাতে-পায়ে কালো পশমের কারণে আমায় অপমান সহ্য করতে হয়েছে। আমার জামাকাপড়, আমার লুকস এ সব কিছু নিয়েই হাসির পাত্র হতে হয়েছে আমাকে”। বয়ঃসন্ধির সময়ে এই সব খারাপ মন্তব্য তাঁর মননে যে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল তা একবাক্যেই স্বীকার করে নিয়ে সানির বক্তব্য, “এমন নয় যে, ছোটবেলায় করা ওই সব অপমানের রেশ তখনই শেষ হয়ে গিয়েছে। তার প্রভাব চলেছে বহু বছর। আমার মতে ‘বুলিং’ আদপে একটি চক্র। যারা নিজেরা ‘বুলিড’ হন তাঁরাও কিন্তু অনেক সময়েই অজান্তে অন্যকে বুলি করে থাকেন। যদি আপনাকে কেউ অপমান করে, নিজের জন্য প্রতিবাদ করুন। যারা বুলি করে, অসম্মান করে, তাঁরা আদপে ভীতু। নিজে অপমানিত হয়ে অন্যকে অপমান না করার অঙ্গীকার করলেই মনে হয় এই চক্রের অবসান ঘটবে।”
View this post on Instagram
এর আগে অন্য এক সাক্ষাৎকারে সানি জানিয়েছিলেন বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে পারে মেয়ে, এই আশঙ্কায় সানিকে বিদেশে পাবলিক স্কুলে ভর্তি না করে ক্যাথোলিক স্কুলে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। সানি বলেছিলেন, “যে জায়গায় আমি বড় হয়ে উঠছিলাম, সেখানে সাদা চামড়ার মানুষ ছিল বেশি। ব্রাউন বা ব্ল্যাকদের জন্য তা নিরাপদ ছিল না। আর আমাদের নিরাপত্তার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমার বাবা-মা”।
যদিও এসবকে পিছনে ফেলে বর্তমানে কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময়েই সানির কাটে এদেশে অর্থাৎ ভারতে। নীল ছবির দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে বলিউডকে আপন করেছেন বেশ কয়েক বছর হল। স্বামী ড্যানিয়েন, তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার তাঁর।
View this post on Instagram