ভয়! লুকিয়ে-লুকিয়ে মুখ ঢেকে কোথায় যেতেন তাপস পাল?
Tapas Paul: অভিনেতা হিসেবে প্রচারও হয়নি জায়গায় জায়গায়। তখন চন্দননগরে আর পাঁচজনের মতোই সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। প্রথম পাঁচ ছবি তিনি এভাবেই করেছিলেন। ছাপোসা জীবনযাপন করতেন।
টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল। সাদা কালো ফ্রেমে বারে বারে তিনি সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কোথাও গিয়ে তাঁর স্নিগ্ধ রূপেই মন ভিজেছিল আপামড় বাঙালির। সেই তাপস পালের কেরিয়ার শুরুর সময়টা ছিল বেশ মজার। তখন সবে মাত্র অভিনয়ের কাজ শুরু করেছেন তাপস পাল। সেভাবে চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করতে পারেননি। তখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম এতটা ছিল না। যার ফলে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েনি সেভাবে। অভিনেতা হিসেবে প্রচারও হয়নি জায়গায় জায়গায়। তখন চন্দননগরে আর পাঁচজনের মতোই সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। প্রথম পাঁচ ছবি তিনি এভাবেই করেছিলেন। ছাপোসা জীবনযাপন করতেন।
এক সাক্ষাৎকারে তাপস পালকে বলতে শোনা যায়, তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতেন, ঘুরতে বেরতেন, সাইকেল চালাতেন। একদিন এক বন্ধু তাঁর থেকে জানতে চেয়েছিল, তিনি অভিনয় করছেন কি না। হাসি মুখে তা অস্বীকার করে গিয়েছিলেন তাপস পাল। তবে বিষয়টাকে ঢেকে রাখা যায়নি খুব বেশিদিন। দাদারকীর্তি ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে যান তিনি। সর্বত্র পড়ে যায় পোস্টার। তা দেখেই জানতে পাড়েন সকলে যে তিনি অভিনয় করছেন।
এরপরই সবটা খোলসা হয় সিনে পাড়ায়। আসতে আসতে সকলেই তাঁকে চিনতে শুরু করেন। তখনও লেখাপড়া করছেন অভিনেতা। পরীক্ষা দিতে যেতে পারতেন না। বাড়ি থেকে ধরতেন রিক্সা। মুখ ঢেকে পরীক্ষা দিতে যেতে হত তাঁকে। এই ছবি তাঁকে এভাবেই সকলের নজরের কেন্দ্রে জনপ্রিয় করে দিয়েছিল। কেবল এলাকাতেই নয়, গোটা বাংলায় তখন তাপস পাল নতুন মুখ। নতুন ভালবাসা, নতুন অভিনেতা। টলিপাড়াতেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। আসতে থাকে একের পর এক কাজের প্রস্তাব।