KBC 13: ‘ঐশ্বর্যাকে হিংসে হয়’, কেবিসি’র মঞ্চে প্রতিযোগীর মন্তব্য! কী উত্তর অমিতাভের?
এই সিজনের প্রতিটি এপিসোডে প্রতিযোগীদের মনের ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করেন অমিতাভ। কখনও প্রত্যন্ত গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন জেনেলিয়া ডি'সুজার সঙ্গে।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন– যার অনুরাগীর সংখ্যা অগুণতি। এ হেন ঐশ্বর্যাকে নাকি রীতিমতো হিংসে করেন দিব্যা সহায় নামক এম মহিলা। কউন বনেগা ক্রোড়পতির মঞ্চে সে কথা শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনকে জানাতেও এক ফোঁটাও দ্বিধা বোধ করলেন না দিব্যা। কিন্তু কেন হিংসে? সবটা শুনে কী প্রতিক্রিয়াই বা দিলেন বিগ-বি?
ঐশ্বর্যাকে হিংসে করার কারণ তাঁর সৌন্দর্য, এমনটাই জানিয়েছেন দিব্যা। অমিতাভকে তিনি বলেন, “আপনার বৌমাকে দেখে আমার ভীষণ জ্বলন হয়। ১০০ বছরে একবার এত সুন্দর নারীর জন্ম হয়।” বৌমার তারিফে গদ্গদ অমিতাভ পাল্টা ধন্যবাদ জানান প্রতিযোগীকে। ওই প্রতিযোগী আরও দাবি করেন, বলিউডের অন্যান্য অনেক অভিনেত্রীর থেকে তিনি দেখতে সুন্দর, অথচ কোনওদিন সুযোগই পেলেন না তিনি। তাঁকে নিরাশ হতে বারণ করেন অমিতাভ। আশা জুগিয়ে বলেন, “বলা যায় না, আজকের পরেই হয়তো এমন কিছু একটা হয়ে গেল…”। জমে ওঠে এপিসোড।
View this post on Instagram
এই সিজনের প্রতিটি এপিসোডে প্রতিযোগীদের মনের ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করেন অমিতাভ। কখনও প্রত্যন্ত গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন জেনেলিয়া ডি’সুজার সঙ্গে। কখনও উত্তরপ্রদেশের এক অজানা গ্রামের এক সাধারণ যুবক যিনি রোহিত শর্মাকে ঈশ্বর মনে করেন তাঁকে আলাপ করিয়ে রোহিতের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে। হটসিটে তিনি অমিতাভ বচ্চন নন। কেবিসির সেট যেন তাঁর বাড়ি, প্রতিযোগীরা যেন তাঁর অতিথি। এ বারের কেবিসি গত বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে লাইভ অডিয়েন্সের সেগমেন্টটির পরিবর্তে আনা হয়েছিল ভিডিয়ো এ ফ্রেন্ড। করোনা পরিস্থিতিতে সবটাই ভার্চুয়াল। কেবিসির ঘরেও সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে আবারও লাইভ অডিয়েন্সের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, এ বারে গেম টাইমারেরও এক নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধুক ধুকি জি’। সেটও সাজানো হয়েছে এলইডি দিয়ে। ভার্চুয়াল সিলিং আর গেমপ্লে গ্রাফিক্স তাতে যোগ করেছে অন্য মাত্রা।
গত বছর অডিয়েন্স যখন ছিলেন না লাইভে মন খারাপ হয়েছিল স্বয়ং অমিতাভেরও। সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “প্রথম বার স্টুডিয়োতে দর্শক নেই। লাইফলাইনের অপশনেরও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।” তবে এ বারে তিনি খুশি। আবারও সেই চেনা আমেজ আর চেনা মেজাজে শাহেনশাহ। মনের আনন্দ ব্যক্ত করে দিন কয়েক আগেই অমিতাভ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছবি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “ফিরলাম… ২০০০ সাল থেকে ওই চেয়ারটায় বসছি আমি। ২১ বছর কেটে গেল। জীবনভরের অভিজ্ঞতা। শো থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার এই লুকটাও।” কেবিসি’র এই সিজনে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সোম থেকে শুক্রবার রাত ৯টায় সোনি টিভিতে দেখা যায় কেবিসি।