প্রতিদিনই বদলাতে থাকে মুখ। বদলাতে থাকে চরিত্র। কোনও চরিত্রের সঙ্গে থেকে যাওয়া এক বছর। কোনও চরিত্র হয়তো আবার ফুরিয়ে যায় তিন মাসেই। কিন্তু নতুন চরিত্র মানেই নতুন জীবন বাঁচা। অভিনেতাদেরই একমাত্র এ সুযোগ রয়েছে। ঠিক যেমন ‘বিপাশা’ এ বার বাঁচবে অনিন্দিতা রায়চৌধুরির মধ্যে। বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে অনিন্দিতা রায়চৌধুরি পরিচিত নাম। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মোহর’-এ এ বার তিনি ‘বিপাশা’।
নতুন এই চরিত্র প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে অনিন্দিতা বললেন, “গতকাল থেকে নতুন এই চরিত্রের টেলিকাস্ট শুরু হয়েছে। লীনাদির (গঙ্গোপাধ্যায়) হাউজে এটা আমার থার্ড প্রজেক্ট। অদ্ভুত চরিত্র। সন্দেহবাতিক মহিলা। নিজে যা ভাবে সেটাই ঠিক। গোটা দুনিয়া ভুল। ডমিনেটিং। সুমনদা, রাজন্যাদি রয়েছে বিপরীতে। দুজনেই ভাল অ্যাক্টর। ‘দেশের মাটি’র পর টেলিভিশনে আমি মানেই কাঁদব, সেই ইমেজ ‘ধুলোকণা’, ‘মোহর’এ ভাঙল লীনাদি। আমি তো কাজটা করে খুবই খুশি। এখন দর্শকের কেমন লাগে দেখা যাক। ‘মোহর’ এমনিতেই হিট। প্যারালাল ট্র্যাকে অন্য ক্যারেক্টারকে এস্টাবলিশ করা সহজ নয়, আশা করি সকলের ভাল লাগবে।”
গত ১০ বছর ধরে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অনিন্দিতা। কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্যামেরার নেপথ্যে। এখন তিনি অভিনেত্রী। বাংলা টেলিভিশনের আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’য় অভিনয় করছেন তিনি। এই ‘ধুলোকণা’য় ‘চান্দ্রেয়ী’ চরিত্রটি পুরোপুরি নেগেটিভ। মার্জিত সাজ, সুন্দর শাড়ি, লম্বা বিনুনির চান্দ্রেয়ী। বাড়ির লোকের সঙ্গে মোটেই ভাল ব্যবহার করেন না তিনি। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে ওস্তাদ। বাড়ির লোককেই কথা শোনাতে ছাড়েন না, তো ফুলঝুরি কোন ছাড়! ফুলঝুরিকে মোটেই পছন্দ করেন না। আর সেটা বুঝিয়েও দেন। চোখের জল ফেলে ফুলঝুরি। কষ্ট পায়। অনস্ক্রিন চান্দ্রেয়ী এবং ফুলঝুরি ঠিক এমনই। ফুলঝুরির চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে। অনস্ক্রিনে দর্শক চান্দ্রেয়ী এবং ফুলঝুরিকে যেমন দেখেন, অফস্ক্রিনে অনিন্দিতা এবং মানালির সম্পর্কটা ঠিক উল্টো। ২০১৬ থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের বন্ধুত্ব। একসঙ্গে পথ চলা। সেই অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব আজও অটুট।
এ বার ‘চান্দ্রেয়ী’ ছাড়াও ‘বিপাশা’ অনিন্দিতার দায়িত্ব। দর্শকের কাছে তিনি কেমন সার্টিফিকেট পান, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন, Swastika Dutta: ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন ডে-তে নিজের চরিত্রদের ফিরে দেখলেন স্বস্তিকা