Annwesha Hazra: লক্ষ্মী পুজোর দিন ঠিক যেন দুর্গা পুজোর পঞ্চমী সেলিব্রেট করলেন অন্বেষা!
Annwesha Hazra: এর আগে অন্বেষার সঙ্গে অন্য ভাবে ভার্চুয়ালি দর্শকের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন শ্রুতি। অন্বেষার সঙ্গে নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, ‘টেলিভিশন দুনিয়ায় ও আমার প্রতিযোগী।’
সহকর্মীদের মধ্যে শুধু প্রতিযোগিতা নয়। চরম ভালবাসার সম্পর্কও হতে পারে। তার নিদর্শন শ্রুতি দাস এবং অন্বেষা হাজরার সম্পর্ক। এই দুই নায়িকার বন্ধুত্ব চোখে পড়ার মতো। শুধু শ্রুতি নন। শ্রুতির বাবা, মায়ের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক অন্বেষার। প্রায় এক পরিবারের মতো তাঁরা। শ্রুতির পরিবারের সৌজন্যেও লক্ষ্মী পুজোর দিন ঠিক যেন দুর্গা পুজোর পঞ্চমী সেলিব্রেট করার স্বাদ পেলেন অন্বেষা!
সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রুতি এবং তাঁর বাবা, মায়ের সঙ্গে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন অন্বেষা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শুধু মাত্র তোমাদের জন্য। আজকের তারিখটা বাঁধিয়ে রাখার মতন, ২০শে অক্টোবর ২০২১। একদিনের ছুটিতে বাড়ি যেতে পারিনি ঠিকই কিন্তু আজ যেখানে সব্বাই লক্ষ্মী পুজো নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আমরা চার জন “দুর্গা পুজোর পঞ্চমী” সেলিব্রেট করেছি। কী! অদ্ভুত শুনতে লাগছে তো? স্বাভাবিক, আমি তো আমার মনের অবস্থা জানাচ্ছি। কলকাতা তে ঘুরে ঘুরে হাঁটা, ফুচকা খাওয়া, আইসক্রিম খাওয়া, আর তার পর ট্রাম এ চাপা। হ্যাঁ অমি এই প্রথম ট্রামে চাপলাম। আমার কাছে কোনও শব্দ নেই বলে বোঝানোর মতন আমি কী ফিল করছি। আমি যে আজ কি পেয়েছি আমি নিজেও ভাবতে পারছি না। আমার লক্ষ্মী পুজো কে তোমরাই দুর্গা পুজো করেছো।’
View this post on Instagram
এর আগে অন্বেষার সঙ্গে অন্য ভাবে ভার্চুয়ালি দর্শকের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন শ্রুতি। অন্বেষার সঙ্গে নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, ‘টেলিভিশন দুনিয়ায় ও আমার প্রতিযোগী। এটা আনন্দের সঙ্গে স্বীকার করছি।’ প্রতিযোগিতার কথা বলতে গিয়ে ‘হেলদি কম্পিটিটর’ শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন শ্রুতি।
অন্বেষা এই মুহূর্তে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। শ্রুতির অভিনয় ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে দেখছেন দর্শক। এর আগেও তাঁর কাজ পছন্দ করেছিলেন দর্শক। শ্রুতি যতটা জনপ্রিয়, এখনও সেই জনপ্রিয়তায় পৌঁছতে পারেননি অন্বেষা, এমনটাই মত অধিকাংশ দর্শকের। কিন্তু তাঁরা যে একে অপরের প্রতিযোগী, তা সুন্দর ভাবে ব্যখ্যা করেছেন শ্রুতি। ওই পোস্টের সঙ্গে হ্যাশট্যাগে ‘ফ্রেন্ডস অব লাইফ’ ব্যবহার করেছেন শ্রুতি। এ থেকে বোঝা যায়, পর্দায় একে অপরের সঙ্গে যতই প্রতিযোগিতা থাকুক, ব্যক্তি জীবনে তাঁরা একে অপরের বন্ধু।
View this post on Instagram
দুর্গা পুজোতে কোনও বারই কলকাতায় থাকেন না অন্বেষা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়। সেখানেই হইহই করে কেটে যায় পুজোর কয়েকটা দিন। বর্ধমানের মেমরিতে অভিনেত্রীর বাড়ি। কিন্তু পুজো মেমরির বাড়িতে হয় না। পুজো হয় তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। মেমরি থেকে আর একটু ভিতরের দিকে ধানখেরু গ্রাম। এক সময় ওখানকার জমিদারি ছিল অন্বেষাদের। অনেক পুরনো বাড়ি। প্রায় ২০০ বছরের পুজো। মেমরির বাড়িও ২০০ বছরের পুরনো। কিন্তু গ্রামের বাড়ি আরও পুরনো। পুজো এমন একটা সময় সব আত্মীয় স্বজন গ্রামের বাড়িতে যান। সকলের সঙ্গে দেখা হয় বছরের ওই সময়টাতেই। তাই কলকাতায় থাকেন না কোনওবার। কিন্তু লক্ষ্মী পুজোতে বাড়ি যেতে না পারার মন খারাপ ভুলিয়ে দিয়েছেন শ্রুতি এবং তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন, Jacqueline Fernandez: অর্থ পাচার মামলায় ইডির প্রশ্নের মুখে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ