টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজেই কাজের জায়গায় একটা পরিবার তৈরি হয়ে যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চলে ধারাবাহিক। একসঙ্গে কাজ করতে করতে, একসঙ্গে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটানোর সুযোগ পান কলাকুশলীরা। সেখান থেকেই এই বন্ধন তৈরি হয়। ‘মিঠাই’ও তার ব্যতিক্রম নয়। মুখ্য অভিনেত্রী সৌমিতৃষা তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তিনি এই ধারাবাহিকে কাজ করতে এসে আরও একটি পরিবার পেয়েছেন।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার ছবি পোস্ট করেছেন সৌমিতৃষা। তাঁর সঙ্গে একই ফ্রেমে রয়েছেন ‘মিঠাই’-এর দুই সহ অভিনেতা। ক্যাপশনে সৌমিতৃষা লিখেছেন, ‘টু হ্যান্ডসাম মেন ইন ওয়ান ফ্রেম’। শুটিংয়ের অবসরে এমন বহু মুহূর্ত তৈরি হয়, যা কলাকুশলীদের সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থেকে যায়।
ভাল কাজ করলে, তার ফল মিলবেই। এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা। যাঁকে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক-এ প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন দর্শক। ভাল কাজ, অর্থাৎ মন দিয়ে নিজের কাজ। সেটাই করে যাচ্ছেন সৌমিতৃষা। তার ফল মিলেছে হাতে নাতে। গত জুলাই নাগাদ দেখতে দেখতে ২০০ পর্বের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০ পর্ব পেরিয়ে যাওয়ায় ধারাবাহিকের সেটেই কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিলেন কলাকুশলীরা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কেক কেটে, একে অপরকে খাইয়ে দেওয়ার পর্বও চলেছিল।
সৌমিতৃষা সে সময় লিখেছিলেন, ‘আমরা মিঠাই-এর ২০০ পর্ব পেরিয়ে এসেছি। আমার প্রথম দিনের প্রোমো, শুটিং সব মনে আছে। আউটডোরের কথাও মনে পড়ে। যত দিন এগিয়েছে, আমাদের টিমের বন্ডিং আরও ভাল হয়েছে। আমি নতুন একটা পরিবার পেয়েছি। এখানে সকলে আমাকে ভালবাসেন। সব সময়ই আমার প্রশংসা করেন। জীবনে যাই হয়ে যাক সকলে সব সময় আমার পাশে থাকেন। আমার মিঠাই পরিবারের জন্য অনেক ভালবাসা। আর দর্শককেও ধন্যবাদ। তাঁদের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও কিছু সম্ভব নয়।’
সৌমিতৃষা ছাড়াও এই ধারাবাহিকের আরও এক সম্পদ অভিনেতা আদৃত রায়। ছোট পর্দায় কাজ করার আগে আদৃত বড় পর্দায় কাজ করেছেন। রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থার তিনটি ছবি ‘নূরজাহান’, ‘প্রেম আমার টু’, ‘পরিণীতা’ ও দেবের প্রযোজনা সংস্থার একটি ছবি ‘পাসওয়ার্ড’-এ দর্শক তাঁর অভিনয় দেখেছেন। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে অভিনয় তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
আরও পড়ুন, Ankita Lokhande: আগামী ডিসেম্বরেই বিয়ে করছেন অঙ্কিতা-ভিকি?