Anindita Manali: শুটিংয়ের অবসরে কী করেন মানালি, অনিন্দিতা?
Anindita Manali: ২০১৬ থেকে শুরু হয়েছে অনিন্দিতা এবং মানালির বন্ধুত্ব। একসঙ্গে পথ চলা। সেই অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব আজও অটুট।
বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির দৈনন্দিন রান্নাঘর যাঁরা চেনেন, অর্থাৎ কী ভাবে ধারাবাহিক তৈরি হয়, সেই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যাঁদের ধারণা রয়েছে, তাঁরা জানেন শুটিং বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। শটের মাঝে বসেও থাকতে হয় অনেক সময়। অপেক্ষা করতে হয় শিল্পীদের। সেই অবসরে সেটে যদি দুই বন্ধু থাকে, তা হলে জমে ওঠে বৈকি! ঠিক যেমন ‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকের মানালী মনীষা দে এবং অনিন্দিতা রায়চৌধুরি। দুই সহকর্মী তো বটেই, কিন্তু তার আগেও তাঁরা বন্ধু।
মার্জিত সাজ, সুন্দর শাড়ি, লম্বা বেনুনির চান্দ্রেয়ী। বাড়ির লোকের সঙ্গে মোটেই ভাল ব্যবহার করেন না তিনি। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে ওস্তাদ। বাড়ির লোককেই কথা শোনাতে ছাড়েন না, তো ফুলঝুরি কোন ছাড়! ফুলঝুরিকে মোটেই পছন্দ করেন না। আর সেটা বুঝিয়েও দেন। চোখের জল ফেলে ফুলঝুরি। কষ্ট পায়।
অনস্ক্রিন চান্দ্রেয়ী এবং ফুলঝুরি ঠিক এমনই। সৌজন্যে ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’। ম্যাজিক মোমেন্টস মোশন পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড নির্মিত এই ধারাবাহিকের চান্দ্রেয়ী এবং ফুলঝুরি দুটি চরিত্র তৈরির নেপথ্য কারিগর চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। আর চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরি এবং মানালি মনীষা দে। দুই অভিনেত্রীই মনে করেন চিত্রনাট্যকারের কলমের গুণে দুটি চরিত্র দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছে। এ হেন দুই বন্ধু শট দেওয়ার অবসরে ঠিক কী করেন?
View this post on Instagram
অজস্র রিল ভিডিয়ো তৈরি করেন শিল্পীরা। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলে তার হদিশ পাওয়া যায়। কিন্তু অদ্ভুত মুখভঙ্গী করে ছবিও তোলেন। অনিন্দিতা সেই সব মুহূর্তের ছবি আবার ভাগও করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ২০১৬ থেকে শুরু হয়েছে অনিন্দিতা এবং মানালির বন্ধুত্ব। একসঙ্গে পথ চলা। সেই অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব আজও অটুট।
এর আগে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে ‘নকশি কাঁথা’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে মানালির অভিনয় দেখেছিলেন দর্শক। সেখানে সুমন দে ছিলেন তাঁর বিপরীতে। আর এই ধারাবাহিকে রয়েছেন ইন্দ্রাশিস রায়। মানালি-ইন্দ্রাশিসের জুটিকে প্রথম অনস্ক্রিন দেখছেন দর্শক। মানালির অভিনয় গুণে কিছুদিন আগে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক দর্শকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
গত ১০ বছর ধরে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অনিন্দিতা রায় চৌধুরি। কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্যামেরার নেপথ্যে। এখন তিনি অভিনেত্রী। এই ‘ধুলোকণা’য় ‘চান্দ্রেয়ী’ চরিত্রটি পুরোপুরি নেগেটিভ। এই ধারাবাহিকেই কিংবদন্তী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে আগেই অনিন্দিতা বলেছিলেন, “সাবুদিকে দেখলেই আমার মনে হয়, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, যে জীবনটা সাদা কালো পর্দায় দেখেছি, সেটাতে উনি ছিলেন। ভয়ঙ্কর অভিনেত্রী। একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলে ভয়ে থাকি। সারাক্ষণ মজা করেন। ফ্লোর মাতিয়ে রাখেন। ওঁর বয়স নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারি না আমরা। নিজেদেরই লজ্জা করে। যে এনার্জি দেখান, আমার তো মনে হয়, নিজে এই বয়সে পৌঁছবই না।”
আরও পড়ুন, Raima Sen: প্রথমবার পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার রাইমা, শেয়ার করলেন ছোটবেলার স্মৃতি