টেলিভিশনে ক্যামেরার সামনে এবং পিছনে যে শিল্পীরা কাজ করেন, তাঁদের ছুটি পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। বাংলা টেলিভিশনের এই বৈশিষ্ট্য কম-বেশি সকলেই জানেন। কিন্তু তার মধ্যেও যখন একটা দিন শুটিং থেকে ছুটি মেলে, নিজের মতো করে সময় কাটাতে চান সকলে। ব্যতিক্রম নন এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকের মুখ্য অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরাও। গতকাল রাখির দিন হাতে বেশ কিছুটা সময় ছিল তাঁর। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন তিনি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অন্বেষা। রাখি উৎসব পালন তো বটেই। একই সঙ্গে সকলে মিলে সিনেমাও দেখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল উইথ ফ্যামিলি। কৃষ্ণেন্দু দা, ঋষভ দা, ঋত্বিক দা, শ্রুতি, স্যার, কাকু, গার্লফ্রেন্ড, মা….. অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক টা ভালবাসা তোমাদের। আজ দিনটা যেন স্বপ্নের মতন ছিল। আর আজ শুধু রাখী স্পেশাল দিন নয় আজ আমাদের ‘মুখোশ’ স্পেশাল দিন ও ছিল। আপনারা যারা মুভিটা দেখেননি অবশ্যই সিনেমা হলে গিয়ে দেখে আসুন….. বড় পর্দায় না দেখলে মিস করবেন।’
এর আগে অন্বেষার সঙ্গে অন্য ভাবে ভার্চুয়ালি দর্শকের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন শ্রুতি। অন্বেষার সঙ্গে নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, ‘টেলিভিশন দুনিয়ায় ও আমার প্রতিযোগী। এটা আনন্দের সঙ্গে স্বীকার করছি।’ প্রতিযোগিতার কথা বলতে গিয়ে ‘হেলদি কম্পিটিটর’ শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন শ্রুতি।
অন্বেষা এই মুহূর্তে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। শ্রুতির অভিনয় ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে দেখছেন দর্শক। এর আগেও তাঁর কাজ পছন্দ করেছিলেন দর্শক। শ্রুতি যতটা জনপ্রিয়, এখনও সেই জনপ্রিয়তায় পৌঁছতে পারেননি অন্বেষা, এমনটাই মত অধিকাংশ দর্শকের। কিন্তু তাঁরা যে একে অপরের প্রতিযোগী, তা সুন্দর ভাবে ব্যখ্যা করেছেন শ্রুতি। ওই পোস্টের সঙ্গে হ্যাশট্যাগে ‘ফ্রেন্ডস অব লাইফ’ ব্যবহার করেছেন শ্রুতি। এ থেকে বোঝা যায়, পর্দায় একে অপরের সঙ্গে যতই প্রতিযোগিতা থাকুক, ব্যক্তি জীবনে তাঁরা একে অপরের বন্ধু।
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বিষয়ে কিছু সিক্রেট শেয়ার করে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অন্বেষা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ঊর্মির ব্যাপারে তো আপনারা সবই জানেন, এবার একটু অন্বেষার ব্যাপারে জানলে মন্দ কি!’
বর্ধমানের অন্বেষা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ‘কাজললতা’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘ঠাকুমার ঝুলি’, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’তে একটা করে গল্পে কাজ করেছিলেন। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ তাঁর চতুর্থ ধারাবাহিক। প্রতি মুহূর্তে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, শিল্পার পাঠানো ভিডিয়ো বার্তা দেখে কেঁদে ফেললেন শমিতা!