Aparajita Adhya: ‘পঁচিশ বছরে কোনওদিন হেয়ার-কাট করিনি, বাধ্য হয়েই কাটতে হল’
এই মুহূর্তে হাতে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে তাঁর। পাভেলের দু'টি ছবিতেই তিনি রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর আগামী ছবিতেও তাঁকে দেখা যাবে।
চুল কেটে ফেলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কালো লম্বা চুলের জায়গায় এখন তাঁর কাঁধ ছোঁয়া স্টাইল করে কাটা চুল। বয়সও যেন কমে গিয়েছে অনেকটা। যদিও তাঁর অনুরাগীদের একাংশের মতে, আগের লম্বা চুলের অপাই অনেক ‘ভাল’। শহরের নামজাদা হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছ থেকে কেটেছেন চুল, ক্যাপশনে লিখেছেন পঁচিশ বছর পরে…
অভিনয় তাঁর পেশা। ফ্যাশনে তাঁকে থাকতেই হয়। পঁচিশ বছর পর তিনি চুল কাটলেন? টিভিনাইন বাংলাকে অভিনেত্রী বললেন, “জন্ম ইস্তক কোনওদিন পার্লারে গিয়ে চুল কেটেছি, মানে ওই হেয়ার কাড় করিয়েছি মনে পড়ে না সত্যি। চুলের আগা ছেঁটে এসেছি ওই অতটুকুই।” হঠাৎ মত বদল? নতুন ছবির কাজ? অভিনেত্রীর উত্তর, “কোভিডের পর ভীষণ চুল পরে যাচ্ছিল। সেই কারণেই ভাবলাম একেবারে কেটে নিই। ওরা বলেছিল রঙও করিয়ে দিতে। পাগল! এই ঠিক আছে।” প্রথমাবস্থায় তাঁর স্বামী দেখেও নাকি বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন জানালেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
এই মুহূর্তে হাতে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে তাঁর। পাভেলের দু’টি ছবিতেই তিনি রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর আগামী ছবিতেও তাঁকে দেখা যাবে। তবে এ বছরের শেষে আবারও ছোট পর্দায় ফিরবেন তিনি। ধারাবাহিকে না কি অন্য কোনও নতুন আঙ্গিকে তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন অপরাজিতা। করোনা পরিস্থিতিতে বড় কোনও আয়োজন নয়। বাড়িতেই কেক কেটে এই বিশেষ দিন সেলিব্রেট করলেন অপরাজিতা। অগস্ট অপরাজিতার কাছে বিশেষ একটি মাস। এর আগে বহু আলাপচারিতায় অপরাজিতা জানিয়েছেন, বেশ অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন। ফলে তাঁর বেড়ে ওঠা পুরোটাই শ্বশুরবাড়িতে। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংসার তাঁর। কেরিয়ারের এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেললেন। শাশুড়ি মা তাঁকে আজও মেয়ের মতোই আগলে রাখেন। অপরাজিতা হাসতে হাসতে জানান, তাঁর নিজের মা নাকি বেশ কড়া ধাতের মানুষ। ফলে সব আবদার আজও শাশুড়ি মায়ের কাছেই। দিন কয়েক আগেই শ্বশুরমশাইকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। সে কারণেই বিবাহবার্ষিকী নিজেদের মতো করে সেলিব্রেট করলেন তিনি।
সকলকে নিয়ে থাকতে ভালবাসেন অপরাজিতা। বাড়ির পুজো, কারও জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর মতো অনুষ্ঠানে পরিবারের পাশাপাশি তাঁর অন্যান্য ভালবাসার মানুষরাও উপস্থিত থাকেন। রক্তের সম্পর্ক অভিনেত্রীর কাছে কখনও বড় কথা নয়। এই স্বভাবের জন্যই আত্মীয়, অনাত্মীয় সকলেই তাঁকে এতটা ভালবাসেন।