Aratrika Maity: রিল লাইফে ইন্দ্রর প্রেমে বিভোর মিতুল, পর্দার আড়ালে সম্পর্ক কেমন, জানালেন আরাত্রিকা

Khelna Bari: ইন্দ্র প্রথম থেকেই মিতুলের পাশে থেকেছে। সব বিপদে সাহায্য করেছে। যদিও ইন্দ্র সবটা এখন জানতে পারছে যে গুগলি আমার মেয়ে নয়, তাও ও এটা বিশ্বাস করে যে আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারব না।

Aratrika Maity: রিল লাইফে ইন্দ্রর প্রেমে বিভোর মিতুল, পর্দার আড়ালে সম্পর্ক কেমন, জানালেন আরাত্রিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 10:59 PM

জয়িতা চন্দ্র

পর্দায় ইন্দ্রর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে মিতুল। আর পর্দার বাইরে, সেখানেই খেলনা বাড়ির ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ কেমন! এবার নিজেই TV9 বাংলার কাছে মুখ খুললেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। 

আগামী গল্পে কোন নতুন মোড় আসতে চলেছে?

গল্পে এখন এক নতুন মোড়। সবটা বলে দেব না। তাতে চমকটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখি, এখন গুগলি আমার ও ইন্দ্রর জীবনে এক অন্যমাত্রায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে। গুগলিকে ফিরিয়ে দিতে হবে তার আসল মা-বাবার কাছে। মিতুলের কাছে সমস্যার হচ্ছে সে কোনও মতেই গুগলিকে ছাড়তে পারবে না। আর মিতুলও বুঝে উঠতে পারছে না গুগলির আসল মা-বাবা কে। যেহেতু কোনও প্রমাণ নেই তাই ঠকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে টানটান পর্ব যাকে বলে, আমাদের দুদিন ধরে এখন ঠিক তেমনই প্লটের শুটিং চলছে। ধারাবাহিকের ভাষায় বললে ওই- ধুম-তা-না-না-না…।

মিতুলের এখন কী পরিস্থিতি?

দেখ ইন্দ্র প্রথম থেকেই মিতুলের পাশে থেকেছে। সব বিপদে সাহায্য করেছে। যদিও ইন্দ্র সবটা এখন জানতে পারছে যে গুগলি আমার মেয়ে নয়, তাও ও এটা বিশ্বাস করে যে আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারব না। সেই দিক থেকে সব রকমভাবে ও চেষ্টা করছে যাতে গুগলি আমার সঙ্গে থাকে, অর্থাৎ মিতুলের সঙ্গে থাকে। মানে আমি এখন একটা চরম পর্যায়ের অসহায়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার হাত-বাঁধা।

ইন্দ্রর সঙ্গে মিতুল নয়, বিশ্বজিতের সঙ্গে আরাত্রিকার সম্পর্কের সমীকরণ কেমন?

মিতুল-ইন্দ্রর যেমন কেমিষ্ট্রি, ঠিক তেমনই। তবে এখন পর্দায় বিষয়টা অন্য পর্যায় গিয়েছে। আমি তেমনটা বলছি না। ধরো বিশ্বজিৎদা অনেক সিনিয়র, বিশ্বজিৎদা অনেকটা জানে, গাইড করে, এত ভাল সহঅভিনেতা হয়তো হয় না। আমার কাজটা করতে একবিন্দুও সমস্যা হয় না। ঠিক-ভুলটা বুঝিয়ে দেওয়া, এমন কি টেলিকাস্ট দেখেও আমায় জানায়, এমনটা নাও হতে পারত, বা এমনটা হলে ভাল হত। খুব হেলদি সম্পর্ক।

মিতুল চরিত্রটা করে কেমন প্রতিক্রিয়া পাও পরিজনদের থেকে?

মিতুল খানিকটা আরাত্রিকার মতই। আবার বলবো অনেকটা আলাদা। মিতুল যেমন ভুল কাজ-ভুল মানুষ দেখলেই আগে মার পড়ে কথা, এই বিষয়টায় বিশ্বাসী, আমি কিন্তু নই। তবে সকলে আমার চরিত্রটা নিয়ে ভীষণ এনজয় করে। যেমন ধর, আমি পর্দার ইন্দ্রির প্রেমে পড়েছি দেখে মামার বাড়িতে সকলে বলে উঠল, কী করছিস এসব তুই… এমন মজার ঘটনা ঘটতেই থাকে।

মিতুল তো প্রেমে পড়েছে আর আরাত্রিকা?

এই রে, এসব কী…। এই প্রশ্ন আবার কেন! তবে সত্যি বলছি, প্রেম করার সময় নেই এই সিডিউলে। আমি এখন কেরিয়ার নিয়েই ভাবতে চাই। সত্যি বলছি, তেমন কিছুই নেই।

অবসরে কী করে আরাত্রিকা?

ছুটির দিনগুলোতে অনেক কাজ জমে থাকে। খুব একটা তো ছুটি পাই না। তারই ওই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটানো, জমে থাকা কাজগুলোকে সেরে ফেলা। ব্যস এই সবই চলতে থাকে।

সেলিব্রিটিদের জীবন আলাদা, এটা কী অভিনয় জগতে আসার পর মনে হয়েছে কখনও?

আমি না সেলিব্রিটি বিষয়টাতেই বিশ্বাসী নই। এটা তো আমাদের কাজমাত্র। তবে হ্যাঁ কখনও তাড়াহুরোতে ট্রামে বাসে না উঠে ক্যাবে উঠি। বাকি সবটাই আমার কাছে স্বাভাবিক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় চারটে পোস্ট করলে যে ১০টা কমেন্ট আসে, তার মধ্যে দুটো খারাপ এলেও মন খারাপ করে। সেটা দেখি, বোঝার চেষ্টা করি, কখনও কখনও ভুলগুলোকে ঠিক করার চেষ্টা করি, তবে হ্যাঁ, এগুলো আমার একটু খারাপ লাগে।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চাও, বড়পর্দা না মেগাতেই?

না-না, ভীষণভাবে আমি বড়পর্দায় থাকতে চাই। একটা কথা বলি এই ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগেই একটি অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু ততদিনে খেলনা বাড়ির সমস্ত কথাবার্তা, প্রোমো হয়ে গিয়েছে। ফলে সেটাতে না বলতে হয়। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই ভাল কাজ পেলে, আমায় ডাকলে যাব। এখন এটা করছি, এটাই মন দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কাজটা আরও ভাল করে শেখার দরকার। তাই এখনই আর এসব নিয়ে ভাবছি না।