আসছে ‘লালকুঠি’। এই ছবির মধ্যে দিয়েই আবারও এক হচ্ছেন রুকমা রায় ও রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই ট্রোলের মুখে এই ধারাবাহিকটি। কালো মোজা পরা ‘সস্তা ভূত’কে নিয়ে হাসির রোল সর্বত্র। বিভিন্ন ফ্যানক্লাবেও ছড়িয়ে পড়ছে মিম। উঠছে হাসির রোল। ধারাবাহিকের প্রোমো বলছে রহস্যে ভরা ধারাবাহিক। ব্যাকগ্রাইউন্ড স্কোর বলছে তাতে আঁচ রয়েছে ভৌতিক আবহাওয়ারও।
সদ্য প্রকাশিত প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, রুকমা ওরফে অনামিকার বিবাহবার্ষিকীতে একটি সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করেছেন রাহুল ওরফে বিক্রম। বিশেষ দিনে সারা বাড়ি সেজে উঠেছে। শাশুড়ি মা হঠাৎই বৌমার গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন নীলার হার। এবং একই সঙ্গে সাবধান করছেন, “নীলা কিন্তু সবার সহ্য হয় না”। এত অবধি সব ঠিকই ছিল, কিন্তু রুকমা পুলের কাছে যেতেই ট্রোলের সূত্রপাত। আচমকাই দেখা যায় পুল থেকে এক কালো হাত উঠে এসে তাঁর হাত চেপে ধরছে। অনামিকা চিৎকার করে ওঠে, সে ভয় পায়, ডাকতে থাকে স্বামীকে। ওদিকে ট্রোলাররা খুঁজে পেয়ে যান মিম মেটেরিয়াল। তাঁদের দাবি ওই হাত নাকি মোজা পরে রয়েছে। ‘বাজেট’ কমানোর জন্যই নাকি ‘ভূতের হাতে’ মোজা পরিয়ে দিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা। যদিও পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। রাহুল-রুকমা ফ্যানেদের বক্তব্য, লালকুঠি কোনও ভৌতিক ধারাবাহিক নয়। তাঁদের যুক্তি, এটি ক্রাইম থ্রিলার। ভূত নয়, ওই কালো হতে পারে কোনও আততায়ীর। যদিও তাতে মন ভেজেনি ট্রোলারদের। ট্রোলিং চলছেই। তবে একটা কথা সকলেই মেনে নিচ্ছেন শাশুড়ি-বৌমার একঘেয়ে গল্পে লালকুঠি যে নিঃসন্দেহে খানিক আলাদা সে ব্যাপারে তাঁরাও একেবারেই সন্দিহান নয়।
১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘লালকুঠি’ সিনেমা। পরিচালনায় ছিলেন কনক মুখোপাধ্যায়। ওই ছবিও ছিল রহস্যরোমাঞ্চে ভরা। এই লালকুঠিতেও লুকিয়ে আছে সেরকমই রহস্য কিনা তা জানতে মুখিয়ে দর্শকেরা। এরই মধ্যে আবার দেশের মাটির পর প্রিয় জুটি একসঙ্গে ফিরছে। রাহুল-রুকমা এই কেমিস্ট্রি দেশের মাটি থেকে লাল কুঠিতেও এক থাকে না আরও মাখোমাখো হয় তা জানতে যেন তর সইছে না তাঁদের।