তাঁর একটা পাঞ্চলাইন দর্শকের হাসির জন্য যথেষ্ট। তিনি অর্থাৎ ভারতী সিং। মঞ্চে ভারতী থাকলে আয়োজকরা এতটাই কনফিডেন্ট থাকেন। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান ভারতী শিশু অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। মহিলা কমেডিয়ান হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছেন এক কথায়। মহিলা হলে ইন্ডাস্ট্রিতে যে ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীও তার ব্যতিক্রম নন। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে সে কথা শেয়ার করেছেন।
ভারতী জানিয়েছেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকে এক অনুষ্ঠানের এক আয়োজক নাকি খারাপ ভাবে তাঁর শরীর স্পর্শ করেন। কিন্তু সে সময় এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি তিনি। কারণ কোনটা ঠিক, আর কোনটা ঠিক নয় সে ধারণা ততটা স্পষ্ট হয়নি সেই বয়সে। তবে শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করতে পেরেছিলেন।
ভারতীর কথায়, “কখনও কখনও শোয়ের কোঅর্ডিনেটররা এমন সূক্ষ্ম ভাবে খারাপ ব্যবহার করেন, কিছু বলা যায় না সব সময়। পিঠে হয়তো হাত ঘষে দিলেন। আমি বুঝতে পারছিলাম, খারাপ কিছু হচ্ছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ভাবছিলাম, উনি আমার কাকার মতো। উনি খারাপ কিছু করতে পারেন না। আমার শরীর, আমার সম্মান নিয়ে এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু তখন সেটা পারতাম না।”
ছোটবেলার দারিদ্রের কথা শেয়ার করেন ভারতী। তিনি জানান, কখনও নুন দিয়ে রুটি খেয়েছেন। কখনও বা তরকারির অভাবে চা দিয়ে পরোটা খেয়ে থেকেছেন। সংসার চালাতে মা সেলাইয়ের কাজ করতেন। আজও মেকআপ রুমে কস্টিউম সেট করতে গেলে সেই আওয়াজ তাঁকে নাকি তাড়া করে বেড়ায়।
২০১৭-এ বিয়ে করেন হর্ষ এবং ভারতী। তারপর থেকে তাঁর জীবন নাকি একেবারে বদলে গিয়েছে। এ বার ধীরে ধীরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বলেও জানান ভারতী।
আরও পড়ুন, মা হতে চলেছেন তনুশ্রী, পাল্টে যাবে ‘ভবতারিণী’ চরিত্রের অভিনেত্রী?