AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Debleena Dutt: কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলাম, বর আসেনি: দেবলীনা দত্ত

Debleena Dutt: কঠিন চোয়াল, চোখ বলে দেয় অনেক কিছু... দেবলীনা বলতে শুরু করলেন, "... বিয়ের পিঁড়িতে বউ সেজে বসেছিলাম। লোকজন আসছেন..."

Debleena Dutt: কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলাম, বর আসেনি: দেবলীনা দত্ত
দেবলীনা দত্ত
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 10:46 AM
Share

নয় বছরের অভ্যেসের পরিবর্তন ঘটতে চলেছে এই পুজোয়। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাটান এতদিনের রোজনামচায় বিরতি। এ বছর পুজো খানিক অন্যরকম দেবলীনা দত্তের কাছে। তবে তিনি ‘চয়েস’-এ বাঁচেন। বাঁচেন নিজের শর্তে। ‘জোশ টক’-ইউটিউব চ্যানেলে নিজের জীবনের গোপন কথা শেয়ার করতেও তাই ভীত নন তিনি। জীবনে নেওয়া নানা সিদ্ধান্ত নিয়েও আপসোস নেই তাঁর। ন’ বছর বয়সে বাবাকে হারানো থেকে বিয়ের মন্ডপে বর না আসা— দেবলীনার জার্নি যেন টলিউডের চিত্রনাট্য।

কঠিন চোয়াল, চোখ বলে দেয় অনেক কিছু… দেবলীনা বলতে শুরু করলেন, “… বিয়ের পিঁড়িতে বউ সেজে বসেছিলাম। লোকজন আসছেন। খাচ্ছেন… চলে যাচ্ছেন। বর এল না…”। বারবার হবু স্বামীর ফোনে ফোন করতেও সাড়া মেলেনি। ফোন বন্ধ, পরিবারেরও ফোন বন্ধ। দেবলীনা সেদিন চাইলেই ভেঙে পড়তে পারতেন, অথবা প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠতে পারতেন হয়তো। কোনওটিই তিনি করেননি। সেই সময় যে গুটিকয়েক বন্ধুকে পাশে পেয়েছিলেন অভিনেত্রী, তথাগত তাঁদের মধ্যে একজন। সেই তথাগতের সঙ্গে আজ তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। এক ছাদের তলায় থাকেনও না তাঁরা। পরিচালক-অভিনেতার নাম জড়িয়েছে অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে। না, তথাগতকেও দোষারোপ করতে চাননি দেবলীনা। চান না তাঁকে নিয়ে খারাপ কথা বলতেও। বরং যে নয় বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা তা দেবলীনার জীবনে সেরা ৯ বছর বলেই ভাবতে চান তিনি। বললেন, “আমাদের জুটিটাকে দর্শক যতটা পছন্দ করতেন আমিও ঠিক ততটাই পছন্দ করতাম। ওই ৯ বছর আমার জীবনে কাটান শ্রেষ্ঠ ন’টা বছর বলে আমি মনে করি।”

এ বছর সেই চেনা নিয়ম ভাঙবে। প্রিয়জুটি আর একসঙ্গে নেই। মন খারাপ? কষ্ট? তাঁর উত্তর, “আমার কাছে দুটো চয়েজ আছে। আমাদের মন খারাপ হয় স্মৃতির জন্য। স্মৃতি তো আঁকড়ে ধরবোই। কিন্তু সেই স্মৃতিকেই আঁকড়ে ধরে যদি তার থেকেও ভাল স্মৃতি তৈরি করি, সেই চয়েজও তো আমার রয়েছে।” প্রতি বছর পুজো এলেই ঘুরতে যেতেন দেবলীনা-তথাগত। এবার তথাগত নেই। তাঁর স্মৃতি রয়েছে দেবলীনার কাছে। আর সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই নতুন স্মৃতির অন্বেষণে মা’কে নিয়েই পুজোর ছুটিতে চলে যাচ্ছেন বাইরে। যোগ করলেন, “এরপর থেকে যখনই অক্টোবর আসবে তখনই এ বছর যে স্মৃতি তৈরি করব, সেটাই ভাবতে থাকব।” দেবলীনা কি এতটা প্র্যাকটিক্যাল? আবেগ-ভালবাসা থেকে বহু হাত দূরে? জবাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আপনি যে মানুষটাকে ভালবাস তাকে বোঝানোর দায়ই নেই আপনার। আপনার ভালবাসা তো শুধুই আপনার। অন্য মানুষটা যদি নাও বোঝে কি যায় আসে তাতে?” বললেন ঠিকই, তবু বলতে গিয়েও গলা কি হাল্কা কেঁপে গেল তাঁর?