জন্মদিন। বছরের অন্য দিনগুলোর থেকে আলাদা তো বটেই। ব্যতিক্রম নন বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ দ্বৈপায়ন দাসও। অভিনেতা আজ বার্থডে বয়। প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সেলিব্রেশনের প্রশ্ন নেই। এমনিতেও জন্মদিন বাড়ির বাইরে সেলিব্রেট করতে পছন্দ করেন না তিনি। আর এ বছর তো শুটিং করেই কাটালেন।
এই মুহূর্তে এই ‘সাঁঝের বাতি’ এবং ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন দ্বৈপায়ন। শুক্রবার ছিল ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের শুটিং। সেট থেকেই TV9 বাংলাকে বললেন, “গতকাল আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ১২ টার সময় ডেকে তোলা হল আমাকে। তারপর কেক কেটে সেলিব্রেশন। এখন তো আলাদা অনুভূতির অবকাশও নেই। এ বছর, আগের বছরও করোনার মধ্যে কাটল। বাড়িতে মা যদি কিছু রান্না করে, সেটা বাড়ি ফিরে জানতে পারব।”
দ্বৈপায়ন এবং তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী পায়েল দে-র একমাত্র সন্তান মেরাখ। বাবার জন্মদিন নিয়ে সে কতটা উত্তেজিত? দ্বৈপায়ন বললেন, “মনে তো হয় না, জন্মদিন ব্যাপারটা ও এখনও খুব একটা বুঝতে পারে। জন্মদিন তো বাড়িতে অনেক হয়েছে। আমার বাবা, মায়ের জন্মদিনও হয়েছে। গতকাল রাতে কেক কাটার সময় ও ঘুমোচ্ছিল। আজ সকালে যখন আমি কেক খাচ্ছিলাম, ও এসে বলল, ‘কেক খাব’। ওকে শেখানো হল, ‘বাবাকে বল, হ্যাপি বার্থডে’। কিন্তু ও বিশেষ পাত্তা দিল না।”
পায়েল-দ্বৈপায়ন বেড়াতে ভালবাসেন। কিন্তু প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে তা খুব একটা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি অভিনেতা জানালেন, লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার সব নিয়ম মেনে কাজ শুরু হয়েছে। তাই আপাতত ছুটি নিতে চান না। ভবিষ্যতে ফের লকডাউন হলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখন বেড়ানো নয়, বরং কাজেই মন দিতে চান তিনি।
আরও পড়ুন, ‘কলকাতা সব সময় ভালবাসা দিয়েছে’, ‘লস্ট’-এর শুটিংয়ে শহরে ইয়ামি গৌতম