সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ, ইন্দ্রাশিসের কাছে ‘ফ্যান বয় মোমেন্ট’

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Aug 20, 2021 | 4:24 PM

Sabitri Chatterjee: এই ধারাবাহিকে ইন্দ্রাশিসের চরিত্রের নাম লালন। রয়েছেন মানালি মনীষা দে। তাঁর চরিত্রের নাম ফুলঝুরি। ইন্দ্রাশিসের শেয়ার করা ছবিতে রয়েছেন মানালিও।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ, ইন্দ্রাশিসের কাছে ‘ফ্যান বয় মোমেন্ট’
আনন্দের মুহূর্তের সেই ছবি। ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। জীবন্ত কিংবদন্তী। তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই আনন্দের। এই মুহূর্তে ‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সাবিত্রী। কখনও অনিন্দিতা রায় চৌধুরি, কখনও বা ময়না মুখোপাধ্যায় এই কিংবদন্তীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এ বার একই ভাবে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারার আনন্দ সোশ্যাল ওয়ালে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায়।

ইন্দ্রাশিসের কাছে নিঃসন্দেহে এটা ফ্যান বয় মোমেন্ট। এই ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রের নাম লালন। রয়েছেন মানালি মনীষা দে। তাঁর চরিত্রের নাম ফুলঝুরি। ইন্দ্রাশিসের শেয়ার করা ছবিতে রয়েছেন মানালিও।

ইন্দ্রাশিস লিখেছেন, ‘উনি বললেন, ‘আমি এই গাড়িটায় উঠছি’। অবশেষে আমি একটা ছবি তোলার সুযোগ পেলাম। জিজ্ঞেস করলাম। স্বর্ণযুগের অন্যতম কিংবদন্তী।’

‘ধুলোকণা’য় প্রথমবার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত অনিন্দিতাও। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে তিনি আগেই বলেছেন, “সাবুদিকে দেখলেই আমার মনে হয়, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, যে জীবনটা সাদা কালো পর্দায় দেখেছি, সেটাতে উনি ছিলেন। ভয়ঙ্কর অভিনেত্রী। একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলে ভয়ে থাকি। সারাক্ষণ মজা করেন। ফ্লোর মাতিয়ে রাখেন। ওঁর বয়স নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারি না আমরা। নিজেদেরই লজ্জা করে। যে এনার্জি দেখান, আমার তো মনে হয়, নিজে এই বয়সে পৌঁছবই না।”

এত বড় মাপের অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ। কখনও কি অনিন্দিতার অভিনয় দেখে সাবিত্রী প্রশংসা করেছেন? অনিন্দিতা শেয়ার করেছিলেন, “সাবুদি সব কথাই মজার ছলে বলেন। সেটা থেকেই বুঝে নিতে হয়, প্রশংসা নাকি অন্য কিছু। একটা সিন করার সময় আমরা তো হুবহু স্ক্রিপ্ট ফলো করি না। নিজেদের মতো করি, পরিচালকের বক্তব্য থাকে। সাবুদির সঙ্গে সিন থাকলে এমন একটা ট্রিক বলে দেন, আমরা অবাক হয়ে যাই।”

এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ময়না বলেন, “১৯৯৮ সালে ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ নামের একটা সিরিয়াল করতাম। সেখানে সাবুদি আমার মা হয়েছিলেন। আবার এত বছর পর ‘ধুলোকণা’তে শাশুড়ি মা। আমার খুব এক্সাইটেড লাগে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সময়। এই বয়সেও যে কাজ করছেন, এ ভাবে ডায়লগ মনে রাখছেন, সেটা শেখার মতো। সাবুদি ইমোশনাল সিনের রিহার্সালে একরকম, আর ফাইনাল পারফরম্যান্সে একেবারে অন্যরকম, অসাধারণ। গ্লিসারিন ছাড়া চোখে জল আনেন এখনও। গলা কাঁপিয়ে কান্নার সময় যে মডিলিউশন করেন, সত্যিই আমাদের ওঁর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”

বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ‘দিদি’ ডাক নাকি পছন্দের। ময়না শেয়ার করেন, “আমরা সকলেই সাবুদি বলে ডাকি। উনি সেটাই পছন্দ করেন। দিদি বলেই সকলে ডাকেন। সাবুদি সিরিয়াসলি মজার মজার কথা বলেন। সেটা শুনে আমরা ফ্লোরে তো হাসিই। অনেক সময় শটের মধ্যেও মনে পড়লে হেসে ফেলি। খুব মজা করে কাজ হয়।”

আরও পড়ুন, সন্তানসম্ভবা নুসরত ‘গ্লো’ করছেন, কোন বন্ধু বুঝতে পারলেন?

Next Article