কিয়াকে ছেড়ে কর্ণাটকের হাম্পিতে কনীনিকা, নতুন কাজ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Jul 22, 2021 | 6:51 AM

Koneenica Banerjee: না! বেড়ানো নয়। নিজের কোনও শুটিংও নয়। বরং একেবারে অন্য ধরনের কাজে হাম্পিতে গিয়েছিলেন কনীনিকা।

কিয়াকে ছেড়ে কর্ণাটকের হাম্পিতে কনীনিকা, নতুন কাজ?
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

একরত্তি মেয়ে কিয়া। তাকে রেখে কর্ণাটকের হাম্পিতে অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য কী? নিছকই বেড়ানো, নাকি নতুন কোনও কাজ?

না! বেড়ানো নয়। নিজের কোনও শুটিংও নয়। বরং একেবারে অন্য ধরনের কাজে হাম্পিতে গিয়েছিলেন কনীনিকা। অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করানো কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ঐতিহাসিক ওই স্থানে।

হাম্পি থেকে ওয়ার্কশপের একগুচ্ছ ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন কনীনিকা। তাঁর অ্যাক্টি অ্যাকাডেমি ‘ক’-এর কয়েকজন ছাত্রছাত্রী সঙ্গে ছিলেন। থিয়েটার পরিচালন অবন্তী চক্রবর্তীও তাঁর এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ওয়ার্কশপ শেষে আজ বৃহস্পতিবার শহরে ফিরছেন তাঁরা।

বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইন অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন কনীনিকা। কিন্তু অনলাইনে কতটুকুই বা শেখানো সম্ভব? তাই অফলাইন ক্লাস করাতে চেয়েছিলেন। বেশ কিছু ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ছিল, যা অফলাইন ছাড়া সম্ভব নয়। আর এই সবের জন্য প্রকৃতির মাঝে হাম্পির মতো জায়গা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তুঙ্গভদ্রার তীরে ওয়ার্কশপ করিয়েছেন, যা মনে রাখার মতো। কখনও পাথরের উপর। কখনও পাথরে মাথা রেখে জলে শরীর ভিজিয়ে শুয়েও অভিনয়ের পাঠ দিয়েছেন তিনি। আর সব কিছুই ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়। যা অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ওয়ার্কশপের শেষ দিনটা ছুটি ছিল তাঁদের। সে দিন নিজেদের মতো করে হাম্পির ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন।

কিয়াকে ছেড়ে বাড়ির বাইরে খুব একটা থাকেন না কনীনিকা। কিন্তু কাজের স্বার্থে এটুকু তাঁকে করতে হয়েছে। কলকাতায় ফিরে রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’ ছবির শুটিং শুরু করবেন তিনি।

লকডাউনে অনলাইন ওয়ার্কশপ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কনীনিকা। ভার্চুয়াল সামার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন। তিনি TV9 বাংলাকে আগেই জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে নাচ হোক বা অভিনয় আলাদা ওয়ার্কশপ না করে প্রতি মাসে ক্লাস করানোর কথা ভেবেছেন। কনীনিকার কথায়, “মান্থলি ক্লাস করাবো ভেবেছি। পকেট ফ্রেন্ডলি সেটা। ওয়ার্কশপ হলে একটু বেশি খরচ হয়। ত্রিপুরা, আসাম, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ, মেদিনীপুরের প্রচুর ছাত্রছাত্রী রয়েছে আমার, যারা কলকাতায় এসে এখন ক্লাস করার কথা ভাবতেও পারবে না। ওরা ভিডিয়ো পাঠায়, সেগুলো শেয়ার করি। নিজেও ব্যস্ত থাকছি, বাচ্চারাও শিখতে চাইছে। আমার ভালই লাগছে।”

আরও পড়ুন, ‘যদি তোমাকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম’, মায়ের জন্মদিনে ইমোশনাল সোনু

Next Article