২০১৮-এ টেলিভিশনে শেষ কাজ করেছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অন্দরমহল’-এর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সে বছরই সন্তানসম্ভবা হন তিনি। ২০১৯-এ জন্ম হয় মেয়ে কিয়ার। অন্দরমহল টেলিভিশনে কনীনিকার শেষ কাজ। কিয়ার জন্মের পর এখনও পর্যন্ত ছোট ছোট কাজ করলেও সে ভাবে দীর্ঘ কমিটমেন্টে যাননি তিনি। শোনা যাচ্ছে ফের টেলিভিশনে ফিরছেন কনীনিকা।
মা হওয়ার পর নিঃসন্দেহে কনীনিকার টেলিভিশনে কামব্যাক। শোনা যাচ্ছে, মুখ্য চরিত্রে ফের দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। অন্য রকমের কাজ। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে কনীনিকা বললে, “হয়তো আবার টেলিভিশনে ফিরছি। এখনই এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।”
দিন কয়েক আগেই কর্ণাটকের হাম্পিতে অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করানো কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কনীনিকা। হাম্পি থেকে ওয়ার্কশপের একগুচ্ছ ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন। তাঁর অ্যাক্টি অ্যাকাডেমি ‘ক’-এর কয়েকজন ছাত্রছাত্রী সঙ্গে ছিলেন। থিয়েটার পরিচালন অবন্তী চক্রবর্তীও তাঁর এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ওয়ার্কশপ সেরে কলকাতায় ফিরে রাজর্ষি দে-র পরিচালনায় ‘মায়া’র শুটিং শুরু করেন তিনি।
কিয়াকে একা রেখেই হাম্পিতে ওয়ার্কশপ করাতে গিয়েছিলেন কনীনিকা। আবার টেলিভিশনে ধারাবাহিকের রুটিনে ফিরলে দিনের অনেকটা সময় কিয়াকে ছেড়ে থাকতে হবে। কী ভাবে ম্যানেজ করবেন? কনীনিকা বললেন, “কিয়াকে রেখে কাজ করা কঠিন। এই দু’বছর তো আমিই ওর সব কিছু করেছি। মা, বাবারও বয়স হয়েছে। কিয়া তো জানেই না, মা কাজ করত। মা দূরে চলে যাবে ও ফিল করছে বোধহয়। হাম্পি থেকে ভিডিয়ো কল করতাম। ওর ধারণা মা ফোনের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে। ধীরে ধীরে ও রিয়ালাইজ করবে, মা কাজে ফিরবে, কাজ করবে, এটা বুঝতে পারবে নিশ্চয়ই। ভাল করে প্রোডাকশন হলে আমি কিয়াকে সঙ্গে নিয়েও যেতে পারি। দেখা যাক।”
বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইন অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন কনীনিকা। কিন্তু অনলাইনে কতটুকুই বা শেখানো সম্ভব? তাই অফলাইন ক্লাস করাতে চেয়েছিলেন। বেশ কিছু ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ছিল, যা অফলাইন ছাড়া সম্ভব নয়। আর এই সবের জন্য প্রকৃতির মাঝে হাম্পির মতো জায়গা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তুঙ্গভদ্রার তীরে ওয়ার্কশপ করিয়েছেন, যা মনে রাখার মতো। কখনও পাথরের উপর। কখনও পাথরে মাথা রেখে জলে শরীর ভিজিয়ে শুয়েও অভিনয়ের পাঠ দিয়েছেন তিনি। আর সব কিছুই ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়।
লকডাউনে অনলাইন ওয়ার্কশপ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কনীনিকা। ভার্চুয়াল সামার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন। তিনি TV9 বাংলাকে আগেই জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে নাচ হোক বা অভিনয় আলাদা ওয়ার্কশপ না করে প্রতি মাসে ক্লাস করানোর কথা ভেবেছেন। কনীনিকার কথায়, “মান্থলি ক্লাস করাবো ভেবেছি। পকেট ফ্রেন্ডলি সেটা। ওয়ার্কশপ হলে একটু বেশি খরচ হয়। ত্রিপুরা, আসাম, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ, মেদিনীপুরের প্রচুর ছাত্রছাত্রী রয়েছে আমার, যারা কলকাতায় এসে এখন ক্লাস করার কথা ভাবতেও পারবে না। ওরা ভিডিয়ো পাঠায়, সেগুলো শেয়ার করি। নিজেও ব্যস্ত থাকছি, বাচ্চারাও শিখতে চাইছে। আমার ভালই লাগছে।” সূত্রের খবর, সেই ব্যস্ততার সঙ্গে এ বার জুড়ে যাবে টেলি ধারাবাহিকে শুটিংয়ের ব্যস্ততাও।
আরও পড়ুন, গাড়ি দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অভিনেত্রী, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ