কোন বিশেষ ছবি দেখে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন কনীনিকা?
Koneenica Banerjee: প্যানডেমিকের কারণে এখন বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে না। তাই স্মৃতিই সম্বল। তিন বার ট্রোমসোয় গিয়েছেন কনীনিকা।
২০২০ বদলে দিয়েছে গোটা পৃথিবী। বদলে গিয়েছে সকলের জীবন। দৈনন্দিনের রুটিন পাল্টে গিয়েছে করোনা আতঙ্কে। সময় পেলেই বেড়াতে যাওয়ার অভ্যেসেও জং ধরেছে। বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোমসো ভ্রমণের স্মৃতি শেয়ার করলেন তিনি।
প্যানডেমিকের কারণে এখন বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে না। তাই স্মৃতিই সম্বল। তিন বার ট্রোমসোয় গিয়েছেন কনীনিকা। সঙ্গী ছিলেন স্বামী সুরজিৎ হারি। সেখানকার ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তিনি। কনীনিকার কথায়, ‘আমাদের তৃতীয়বার ট্রোমসোয় যাওয়ার স্মৃতি। তিন নম্বরবার ট্রোমসো যাওয়ার অভিজ্ঞতা এখনও মনে আছে। প্রচন্ড ঠাণ্ডা ছিল, অরোরা বোলিয়ালিস দেখা। এটার পরই প্যানডেমিক শুরু হয়েছিল। বেড়াতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যখন এ সব ছবি আর ভিডিয়ো দেখি, নস্ট্যালজিক হয়ে যাই।’
২০১৮-এ টেলিভিশনে শেষ কাজ করেছেন অভিনেত্রী কনীনিকা। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অন্দরমহল’-এর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সে বছরই সন্তানসম্ভবা হন তিনি। ২০১৯-এ জন্ম হয় মেয়ে কিয়ার। ‘অন্দরমহল’ টেলিভিশনে কনীনিকার শেষ কাজ। কিয়ার জন্মের পর এখনও পর্যন্ত ছোট ছোট কাজ করলেও সে ভাবে দীর্ঘ কমিটমেন্টে যাননি তিনি। ফের টেলিভিশনে ফিরছেন তিনি। নতুন বাংলা ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’।
View this post on Instagram
টেলিভিশনে ধারাবাহিকের রুটিনে ফিরলে দিনের অনেকটা সময় কিয়াকে ছেড়ে থাকতে হবে। কী ভাবে ম্যানেজ করবেন? কনীনিকা এ প্রসঙ্গে আগেই TV9 বাংলাকে বলেন, “কিয়াকে রেখে কাজ করা কঠিন। এই দু’বছর তো আমিই ওর সব কিছু করেছি। মা, বাবারও বয়স হয়েছে। কিয়া তো জানেই না, মা কাজ করত। ধীরে ধীরে ও রিয়ালাইজ করবে, মা কাজে ফিরবে, কাজ করবে, এটা বুঝতে পারবে নিশ্চয়ই। ভাল করে প্রোডাকশন হলে আমি কিয়াকে সঙ্গে নিয়েও যেতে পারি। দেখা যাক।”
কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও কিয়াকে সময় দেওয়া কনীনিকার প্রায়োরিটি। তিনি সে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখতে চান না। অসমবয়সি বন্ধুত্বের গল্প বলবে নতুন বাংলা ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরুণিমা হালদার। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী। এক মধ্যবয়সী গৃহবধূ ও মায়ের ইচ্ছেপূরণের গল্প বলবে এই ধারাবাহিক। প্রোমোতেই স্পষ্ট, যে কনীনিকা ও অরুণিমার মধ্যেই হতে চলেছে সেই বন্ধুত্ব। ধারাবাহিকের মূল গল্প সাহানা দত্তর। প্রোমো বলছে, নিজের সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য সহচরী যায় কলেজে। কিন্তু পথ বেশ কঠিন। হঠাৎ মায়ের বয়সি এক মহিলাকে কলেজ চত্বরে দেখে তামাশা করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। সহচরী ঘাবড়ে যায়। সকলের সঙ্গে লড়াই করে তার হাত ধরে এক ফুটফুটে যুবতী। ধারাবাহিকে সহচরী, অর্থাৎ কনীনিকার বিপরীতে তাঁর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, অনুপমের নতুন কাজ, নিজের কবিতা পাঠ করলেন অডিও বুকে