সাড়ে তিন বছরের বৈবাহিক জীবন তাঁদের। চোখে হাজার স্বপ্ন আর মনে অফুরান ভালবাসা নিয়ে স্বামীর হাত ধরে শহরে এসেছিলেন গোবরডাঙার মেয়েটি । ক্যামেরার ঝলকানি, গ্ল্যামার এই সব কিছুই ছুঁয়ে দেখা তো তাঁর স্বামীর হাত ধরেই। আজ সে নামি চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। আজ ‘শ্যামা’ তিয়াসা রায়কে চেনে না খুব কম জনই আছে। সত্যিই তো সেদিন স্বামী সুবান না থাকলে আজকের শ্যামাকে কি কেউ পেত?
আজ, নাম- খ্যাতি প্রতিপত্তি, সব কিছুর শিখরে অভিনেত্রী । একদিকে যেমন এত খ্যাতি অন্যদিকে আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে তিয়াসা, সুবানের দাম্পত্য কলহ। সম্পর্কে চিড় এতটাই যা নাকি গড়িয়েছে ডিভোর্স অবধি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নায়িকা স্পিকটি নট্ । তাঁরা কি তবে আলাদা থাকছেন? এসব ঘটনা কি তবে সত্যি? নিরবতা ভাঙলেন নায়িকা, সাক্ষী থাকল TV9 বাংলা।
“হ্যাঁ সম্পর্কের সমীকরণটা আগের থেকে পরিবর্তিত হয়েছে ঠিকই। কাজের সূত্রে আমরা আলাদাই থাকছি। তবে সব সমস্যাই কি ডিভোর্স অবধি গড়াবে? তার কি খুব প্রয়োজনীয়তা আছে? দাম্পত্যে ঝগড়াঝাটি হবে, কথাকাটাকাটি হবে তা তো স্বাভাবিক। এই সব কিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। তবে আমার জীবনে আমি সুবানের অবদান কোনও দিনও ভুলতে পারব না।”
কথায় বলে, প্রতিটা শুরুরই একটা শেষ থাকে। আবার শেষ না থাকলে নতুন কিছুর শুরু হতে পারে না। তবে তিয়াসা সুবানের এই গল্প কি নতুন কোনও শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে? নাকি এ এক কাহিনীর ইতি, উত্তরটা পেয়েও যেন অধরাই রয়ে গেল।
আরও পড়ুন:জীবন-যুদ্ধে একটা হাত লাগে, তিয়াসাকে সেই হাতটা বাড়িয়েছিলাম আমিই: সুবান রায়