‘ইন্ডিয়ান আইডল’ বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন এই রিয়ালিটি শোয়ের প্রথম সিজনের প্রতিযোগী রাহুল বৈদ্য। প্রথম সিজনে রাহুল জিততে পারেননি ঠিকই। কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। পরে ‘বিগ বস’-এ অংশ নেন রাহুল। সদ্য ‘খতড়ো কা খিলাড়ি’র শুটিং শেষে দেশে ফিরেছেন। বান্ধবী দিশা পারমারের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাহুল এ বার ইন্ডিয়ান আইডল সংক্রান্ত চলতি বিতর্কে নিজের মত জানালেন।
রাহুলের মতে, একজন অতিথি বিচারককে যদি শোয়ের নির্মাতারা প্রতিযোগীদের প্রশংসা করতে বলেন, তাতে দোষের কিছু নেই। আর বিনোদনের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। সব কিছু নিয়ে দর্শকেরও মাথা ঘামানো উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। পরোক্ষ ভাবে অমিত কুমারের বিপক্ষেই রাহুল কথা বলছেন বলে মনে করছেন দর্শকের বড় অংশ।
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে রাহুল বলেন, “এখন ইন্ডিয়ান আইডলে কী হচ্ছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এক জায়গায় পড়লাম, একজন অতিথি বিচারক বলেছেন, তাঁকে নির্মাতারা প্রতিযোগীদের প্রশংসা করতে বলেছিলেন। এতে তো কোনও ক্ষতি নেই। এমন তো নয়, বিচারককে বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে কোনও প্রতিযোগীকে বিয়ে করতে বলা হচ্ছে। এটা নিয়ে এত কথা কেন হচ্ছে? আমি মনে করি, এখানে যাঁরা গান গাইতে আসেন, প্রত্যেকেই ভাল। কিন্তু দিনের শেষে বিনোদনের জন্যই শো তৈরি করা হয়।”
রাহুল আরও জানান, ছয়, সাত মাস ধরে এই শো চলছে। এ বার হয়তো শেষ হয়ে যাবে। নতুন সিজন শুরু হবে। নতুন প্রতিযোগীরা আসবেন। পুরনো কথা দর্শক ভুলে যাবেন। প্রথম দিকে নাকি তাঁরা ২মিনিট ৩০ সেকেন্ড পারফরম্যান্সের জন্য সময় পেতেন। মঞ্চে গিয়ে গান গেয়ে আবার নিজের জায়গায় এসে বসতে হত। নেহা কক্কর যিনি চলতি সিজনের বিচারক, তিনিও এই শোয়ের দ্বিতীয় সিজনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিও আগের আর এখনকার পার্থক্য জানেন বলে মনে করেন রাহুল। তাঁর কথায়, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু বদলায়। পৃথিবী সে ভাবেই চলে। এটাও বদলেছে। এখন সবটাই হচ্ছে প্যাকেজিং। তাই সে সময়ের চার্ম একরকম ছিল। আর আজকের গল্প আলাদা।”
কিছুদিন আগে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-এ কিশোর কুমার স্পেশ্যাল এপিসোডে অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোর পুত্র অমিত কুমার। তিনি পরে জানান, প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্স ভাল না লাগলেও নির্মাতাদের নির্দেশ মতো প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ উপযুক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তিনি ওই শোয়ে হাজির ছিলেন। এর পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন, দাম্পত্যের ১৭ বছর পেরিয়ে আবেগপ্রবণ কৌশিকী চক্রবর্তী