Rohan Bhattacharya: বাবাকে ছাড়া কখনও অঞ্জলি দিইনি, আর সে সব হবে না: রোহন ভট্টাচার্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Sep 25, 2021 | 3:13 PM

Rohan Bhattacharya: ২০২১-এর পুজোতে রোহনের মনে বিষাদের সুর। বিষাদের ব্যথা তাঁর পরিবারেও। কয়েক মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি।

Rohan Bhattacharya: বাবাকে ছাড়া কখনও অঞ্জলি দিইনি, আর সে সব হবে না: রোহন ভট্টাচার্য
রোহন ভট্টাচার্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

ক্যামেরার ফ্রেমবন্দি অভিনেতা রোহন ভট্টাচার্য। ব্যাকগ্রাউন্ডে মা দুর্গা। মায়ের মুখে মিষ্টি। অর্থাৎ এ যেন বিজয়া দশমীর সন্ধে। ঠিক এমন একটি ছবি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রোহন। ক্যাপশনে লিখেছেন, সামথিং এক্সাইটিং কামিং সুন। এখনও পুজো আসতে আরও কয়েকটা দিন বাকি। তা হলে রোহনের শেয়ার করা ছবিতে বোধনের আগেই বিসর্জন কেন? রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেতা স্বয়ং।

TV9 বাংলাকে এ প্রসঙ্গে রোহন বললেন, “জি বাংলার একটা পুজোর শুটিংয়ের ছবি এটা। সেখানে আমার স্পেশ্যাল পারফরম্যান্স থাকবে। জি বাংলার সঙ্গে যুক্ত সব অভিনেতা, অভিনেত্রীরাই রয়েছেন।”

আসন্ন পুজোতে কি কলকাতাতেই থাকবেন রোহন? অভিনেতা বললেন, “হ্যাঁ, কলকাতাতেই আছি। পরিবারের সঙ্গেই থাকব। এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে আমার। পরিবারের জন্য তো সময় বের করতে পারি না। পুজোর কয়েকটা দিন একেবারে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। সেটাতেই আমার আনন্দ।”

তবে ২০২১-এর পুজোতে রোহনের মনে বিষাদের সুর। বিষাদের ব্যথা তাঁর পরিবারেও। কয়েক মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। রোহনের বাবা পেশায় ছিলেন পুরোহিত। দমদমে তাঁদের বাড়ি। দমদমের বেদিয়াপাড়া অঞ্চলের একটি পুজো মন্ডপে প্রতি বছর পুজো করতেন রোহনের বাবা। অভিনেতার পুজোর স্মৃতিতে ছোট থেকেই যা মিলেমিশে একাকার। এ বার থেকে বদলে যাবে পুজো।

রোহন বললেন, “পুজোর সময়টা আসলে বেশি কঠিন। বাপিকে মিস করি প্রতিদিন। প্রতি মুহূর্তে বাপির কথা মনে পড়ে। বাপি নিজে দুর্গাপুজো করত। বেদিয়াপাড়ায়। তার আগে আমার দাদু করত, পরে বাপি করত। পুরোহিত ছিল বাপি। সেটাই ওর প্রফেশন ছিল। ছোট থেকে কখনও বাপিকে ছাড়া অঞ্জলি দিইনি…। আর সে সব হবে না।”

কিছুদিন আগে কেক কেটে, আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে ঘরোয়া ভাবেই মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন রোহন। সে সব ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহন লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন মা। তোমাকে ভালবাসি। ধন্যবাদ মা…।’

গত জুনে বাবাকে হারিয়েছেন রোহন। সে সময় TV9 বাংলাকে রোহন বলেছিলেন, “এক বছর আগে বাপির ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়েছিল। আমরা সকলে অনেক লড়াই করে সারিয়ে এনেছিলাম। বাপি অনেক কষ্ট পাওয়ার পর ভাল ছিল। সেটাই আমাদের সবচেয়ে দুঃখের কারণ।” বাইক দুর্ঘটনার পর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মারা যান রোহনের বাবা।

‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে রোহনের অভিনয় দেখছেন দর্শক। কয়েক মাস আগে ১০০ পর্বের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেটে কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিলেন কলাকুশলীরা। এই সাফল্য আসলে গোটা টিমের। ক্যামেরার সামনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা তো বটেই, ক্যামেরার পিছনের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন সকলে। একদিকে বাড়ির বয়স্কা সদস্যের অকারণ জেদ, অহেতুক যুক্তি, অন্যদিকে সমস্ত অন্যায়ের সামনে মাথা না ঝোঁকানো অপুর লড়াই মুগ্ধ করেছে টেলি দর্শককে। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত অপুর যাত্রা কোথায় শেষ হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। অজান্তেই যেন অপুর পক্ষ নিয়েছেন দর্শক। এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন এই টিমকে। তাই সর্বোপরি দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছে গোটা টিম।

আরও পড়ুন, Shamita Shetty and Raqesh Bapat: বিগ বস ওটিটি শেষ হওয়ার পর প্রথম ডেটে গেলেন রাকেশ-শমিতা

Next Article