‘তোমার সব স্মৃতি আঁকড়ে আমরা আবার জীবন স্রোতে ফিরছি …’

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Aug 14, 2021 | 7:02 PM

বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। শেয়ার করেছেন ছবি। শেয়ার করেছেন বাবার পছন্দের ওই গানটির লাইনও। রুদ্রজিৎ লিখছেন,' তোমার খুব পছন্দের গান। তোমার সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আমরা আবার জীবন স্রোতে ফিরছি বাবা। মা ভালো আছে। তুমিও খুব ভালো থেকো।'

তোমার সব স্মৃতি আঁকড়ে আমরা আবার জীবন স্রোতে ফিরছি ...
স্মৃতি

Follow Us

…মুকুটটা তো পড়েই আছে
রাজাই শুধু নেই…

মান্না দে’র এই গানটি বড় পছন্দের ছিল দীপক মুখোপাধ্যায়ের। বর্তমানে পরিস্থিতিতে ছেলে রুদ্রজিতের বারেবারেই মনে পড়ছে গানটির ওই দুই লাইনের কথা। পরিচিতি আছে, আছে পরিবার… শুধু নেই বাবা। মাস দুয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছেন রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। এ দিন বাবার জন্মদিনে তিনি আবেগঘন। ফেসবুকে উজাড় করে লিখলেন মনের কথা।

বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। শেয়ার করেছেন ছবি। শেয়ার করেছেন বাবার পছন্দের ওই গানটির লাইনও। রুদ্রজিৎ লিখছেন,’ তোমার খুব পছন্দের গান। তোমার সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আমরা আবার জীবন স্রোতে ফিরছি বাবা। মা ভালো আছে। তুমিও খুব ভালো থেকো।’ প্রমিতাও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ফেলে আসা দিনের এক টুকরো রঙিন ছবি। যে ছবিতে শ্বশুর-শাশুড়ি আর রুদ্রজিতের সঙ্গে এক মিষ্টি মুহূর্ত বন্দি হয়ে রয়েছে। বৌমার লাল রঙ পছন্দ। তাই বাকিদেরও পরতে দেখা গিয়েছে লাল রঙের পোশাক। স্মৃতির ডায়েরি থেকে সেই ছবি শেয়ার করে প্রমিতা লিখেছেন, ” আমরা জানি তুমি যেখানেই আছ খুব ভালো আছ”।

গত ১৭ জুন প্রয়াত হন অভিনেতার বাবা। টিভিনাইন বাংলার তরফে রুদ্রজিতের স্ত্রী অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, “গত এক মাস ধরেই বাবা ভুগছিলেন। হাই প্রেশার এবং সুগার ছিল। সেখান থেকেই কিডনি জনিত সমস্যা হয়। এক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোকও হয়। আজ সকালে এমন একটা খবর।” তবে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল বলেই পরিবার সূত্রে খবর। রুদ্রজিৎও বাবাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছিলেন, “দীর্ঘ ১ মাসের লড়াই আজ শেষ। সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। তুমি অনেক লড়াই করেছো বাবা এবার তুমি শান্তিতে থেকো আর তোমায় কেউ জ্বালাবে না।”

 

এ বছরই ভালবাসা দিবসে আইনি বিয়ে হয়েছিল রুদ্রজিৎ-প্রমিতার। ছেলের বিয়েতে জমিয়ে উল্লেখ করেছিলেন অভিনেতার বাবা। প্রমিতাও শ্বশুর-শাশুড়ির প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। টিভিনাইন বাংলাকে বলেছিলেন, শুরু থেকেই তাঁকে রুদ্রজিতের বাবা-মা বাড়ির মেয়ের মতো স্নেহ করেন।

তাঁর কথায়, “প্রথম ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম এক সরস্বতী পুজোর দিন। তার আগে ফোনে কথা হয়েছিল। ছবি দেখেছিলাম। মনে একটু ভয় ছিল আমার। কিন্তু প্রথম থেকেই ওঁরা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। একদম মেয়ের মতো। আমাকে শুরু থেকেই তুই বলেন। সেটা আমার খুব ভাল লাগে। আমার ‘বধূবরণ’-ধারাবাহিকের কনক চরিত্র খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। ওর মাও খুব দেখত ওটা। আমাকে পরে বলেছেন, উনি ভাবতেন, কনক বাড়ির বউ হলে খুব ভাল হয়। সেই ‘কনক’– ই বাড়ির বউ হয়েছে, দেখে যেতে পেরেছেন শ্বশুরমশাই। কিন্তু বিশেষ দিনে তাঁর অনুপস্থিতিতে মন ভাল নেই ওই সেলেব দম্পতির।

Next Article