সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি মৌলিক। থিয়েটার জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় দুই শিল্পী। আপাতত টেলিভিশনের পর্দায় ‘খড়কুটো’ এবং ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকেও যাঁদের অভিনয় দেখছেন দর্শক। এই দুই শিল্পীর জীবনে আজ একটি বিশেষ দিন। আজ তাঁদের বিবাহবার্ষিকী।
আট বছর আগে আজকের দিনে বিয়ে করেছিলেন সোহিনী–সপ্তর্ষি। আজকের দিনটা নিজেদের মতো করে সেলিব্রেট করার পরিকল্পনা করেছেন। অল্প শুটিং করে বাকি দিনটা ছুটি নিয়েছেন দু’জনেই। সেলিব্রেশন প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে সপ্তর্ষি বললেন, “দু’জনে একসঙ্গে কোথাও হয়তো লাঞ্চে যাব। বিকেলে স্যারের সঙ্গে (রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত) দেখা করব। আমরা দু’জনেই নানা রকম জিনিস কিনতে ভালবাসি। কিছু কিনব হয়তো। সোহিনী পারফিউম ভালবাসে, ওকে পারফিউম কিনে দিতে পারি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের একটি ছবি শেয়ার করে সোহিনীকে এই বিশেষ দিনটির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সপ্তর্ষি। সেখানে সোহিনীকে তিনি ‘ক্যাপ্টেন’ বলে সম্বোধন করেছেন। এ হেন সম্বোধনের কারণ কী? সপ্তর্ষি বললেন, “ক্যাপ্টেন শব্দটার মধ্যে অনেক কিছু আছে। ও আমার অভিনয়ের প্রথম শিক্ষাগুরু। জীবনের ক্ষেত্রেও দু’জন দু’জনকে ঠিক করে দিই। রোল রিভার্স হয় কখনও। তবে ওকে মাঝেমধ্যেই ক্যাপ্টেন বলে ডাকি। আমার ভাল লাগে।”
সপ্তর্ষি জানালেন, নান্দীকারে মহড়া শুরু হয়েছে। সল্টলেকে ওকাকুরা ভবনের কাছে নান্দীকারের একটি জমি রয়েছে। সেখানে একটি ইনস্টিটিউট তৈরির কাজ চলছে। যেখানে পারফর্ম করা যাবে। মহড়া দেওয়া যাবে। এমনকি নামমাত্র টাকায় অন্য দলের সদস্যরাও পারফর্ম করা বা মহড়া দেওয়ার কাজ করতে পারবেন।
আর থিয়েটার হলে ফেরার ভাবনা? সপ্তর্ষি বললেন, “হল তো খুলে গিয়েছে। সরকারি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও আমরা এখনও সরকারি হল থেকে কিছু জানতে পারিনি। হল খুললেও, ৫০ শতাংশ মানুষ চলে আসবেন, এটা আশা করা ঠিক নয়। অলটারনেটিভ ভাবার চেষ্টা করছি অনেকদিন ধরেই। ইন্টিমেট স্পেসে কী ভবে থিয়েটার করা যায়, ভাবছি। অনলাইনে কখনও থিয়েটার পারফর্ম করা যায় না। নিরুপায় হয়ে ভাবতে হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়েই অনেক রকম প্রোডাকশন তৈরি করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন, রবিবারের দুপুরে বাড়িতে কী হয়? ভিডিয়ো শেয়ার করলেন করিনা