টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অন্তত দীর্ঘদিন টেলিভিশনে কাজ করতে গিয়ে সেটাই মনে হয়েছিল অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর। টাইপকাস্ট থেকে বেরনোর জন্য লুক বদলে ফেলেছিলেন। সেই লুক বদলানোর ফল মিলল হাতেনাতে। নতুন একটি ধারাবাহিকে সুযোগ পেলেন সায়ক।
‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকে এখন উত্তর পর্ব দেখানো হচ্ছে। সাঁঝের বাতি নতুন পৃথিবী। সেখানেই একটি চরিত্রে দেখা যাবে সায়ককে। তাঁর চরিত্রের নাম গ্যারি। আজই প্রথম শুটিং করলেন সায়ক। সম্প্রচারিত হবে আগামী ১৬জুলাই থেকে।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে সায়ক বললেন, “এই চরিত্রটি লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছে বিয়ে করবে বলে। নর্মাল ক্যারেক্টার। পরে নেগেটিভ হতেও পারে। আমার তো মনে হয় লুক চেঞ্জ করার জন্যই এই সুযোগ এল। ফটোশুটে যে ধরনের লুক ছিল আমার, এই ধারবাহিকেও অনেকটা সেই রকম লুকই দেওয়া হয়েছে। লুক চেঞ্জের ভাবনাটা কোথাও কাজে লেগেছে।”
২০১৪ থেকে কেরিয়ার শুরু করেছেন সায়ক। বেশ কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন দর্শক মহলে। কিন্তু এই কয়েক বছরের কেরিয়ারে তাঁকে ভক্তিরসাত্মক অথা ঐতিহাসিক গল্প নির্ভর ধারাবাহিকেই সুযোগ দিয়েছেন নির্মাতারা। সায়ক তার বাইরেও নিজেকে অন্য চরিত্রে এক্লপ্লোর করতে চান। তাই সচেতন ভাবেই নিজের লুক বদলে মেকওভর করেছিলে তিনি। সায়ক বলেছিলেন, “আমি অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। সুযোগ পেয়েও না পারলে বুঝতাম, আমি পারি না। তাই এক রকমের চরিত্রের অফার পাচ্ছি। তা তো নয়। নিজেকে অন্য চরিত্রেও এক্সপ্লোর করতে চাই।”
এই মুহূর্তে ‘অগ্নিশিখা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সায়ক। ঠিক এর আগেই শেষ হয়েছে ‘কাদম্বিনী’। সেখানে মন্মথের চরিত্রে অভিয় করেছিলেন। এর পরেও তাঁর হাতে যে অফার রয়েছে সেটিও ভক্তিরসের গল্প। সায়ক শেয়ার করেছিলেন, “সত্যিই আমি টাইপকাস্ট হয়ে গিয়েছি। কেন আমাকে শুধু এই ধরনের চরিত্রে ভাবা হয়, জানি না। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, আমি দেখেছি টেলিভিশনে যারা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন, বছরের পর বছর সেটাই করে যাচ্ছেন। দর্শকও হয়তো অন্য ভাবে দেখতে চান না। কারণটা সত্যিই জানি না।”
‘শ্রীকৃষ্ণ’, ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘কাদম্বিনী’-র মতো ধারাবাহিক ছেড়ে অন্য ধরনের কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরি করছেন সায়ক। সেই স্বপ্ন ‘সাঁঝের বাতি’র হাত ধরে সফল হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, ইনায়ার ঘরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস, ভোরে সেখানে কী হয়?