২০১৪ থেকে কেরিয়ার শুরু করেছেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। বেশ কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন দর্শক মহলে। কিন্তু এই কয়েক বছরের কেরিয়ারে তাঁকে ভক্তিরসাত্মক অথা ঐতিহাসিক গল্প নির্ভর ধারাবাহিকেই সুযোগ দিয়েছেন নির্মাতারা। সায়ক তার বাইরেও নিজেকে অন্য চরিত্রে এক্লপ্লোর করতে চান। তাই সচেতন ভাবেই নিজের লুক বদলে মেকওভর করলেন তিনি।
সায়কের কথায়, “আমি অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। সুযোগ পেয়েও না পারলে বুঝতাম, আমি পারি না। তাই এক রকমের চরিত্রের অফার পাচ্ছি। তা তো নয়। তাই লুক বদলে ফেললাম। পিবি স্টুডিওর প্রতীক ভট্টাচার্যই লুক বদলানোর আইডিয়া দেন। উনিই ছবি তুলেছেন। সৌরভের কস্টিউম আর অর্ণব দাসের মেকআপে যে লুকটা তৈরি হয়েছে, আমার তো মনে হয়েছে, ঠাকুরের ইমেজ, হিস্টোরিক্যাল লুক ব্রেক হতে পারে। নিজেকে অন্য চরিত্রেও এক্সপ্লোর করতে চাই।”
এই মুহূর্তে ‘অগ্নিশিখা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সায়ক। ঠিক এর আগেই শেষ হয়েছে ‘কাদম্বিনী’। সেখানে মন্মথের চরিত্রে অভিয় করেছিলেন। এর পরেও তাঁর হাতে যে অফার রয়েছে সেটিও ভক্তিরসের গল্প বলে জানালেন তিনি। তাহলে কি কোথাও টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছেন? সায়ক শেয়ার করলেন, “সত্যিই আমি টাইপকাস্ট হয়ে গিয়েছি। কেন আমাকে শুধু এই ধরনের চরিত্রে ভাবা হয়, জানি না। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, আমি দেখেছি টেলিভিশনে যারা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন, বছরের পর বছর সেটাই করে যাচ্ছেন। দর্শকও হয়তো অন্য ভাবে দেখতে চান না। কারণটা সত্যিই জানি না।”
‘শ্রীকৃষ্ণ’, ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘কাদম্বিনী’-র মতো ধারাবাহিক ছেড়ে অন্য ধরনের কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরি করছেন সায়ক। তাঁর সেই স্বপ্ন সফল হবে কি?
আরও পড়ুন, দেড় বছর পর টেলিভিশনে ফিরছেন সঙ্ঘমিত্রা, কোন ধারাবাহিকে?