‘তুরুপের মুখে ভাত’। আসনের উপর সেলাই করলেন মা নিজের হাতে। করলেন তুরুপের জন্য। তুরুপ অর্থাৎ অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র সন্তান। কয়েক মাস আগে মা হয়েছেন স্নেহা। সদ্য ছেলের অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে নিজের হাতে এই কাজটা করেছিলেন তিনি। এ বার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে স্নেহা বললেন, “আমার শ্বশুরবাড়ি দেবগ্রামেই তুরুপের অন্নপ্রাশন হয়েছে। এ বার তো করোনা পরিস্থিতির জন্য লোকজন আসতে পারেননি। তাই ভাবলাম সুন্দর করে সাজাই। ভবিষ্যতে ওর স্মৃতি হয়ে থাকবে। ও যেখানে ভাত খেতে বসেছিল তার পিছনে এটা টাঙিয়ে দিয়েছিলাম। স্কুলের শিক্ষা কাজে লাগল।”
সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন স্নেহা। স্কুলে পড়াকালীন সেলাই শিখতে হয়েছিল তাঁকে। এত দিনে সেই শেখা কাজে লাগাতে পারলেন। এমনিতেই দেরি করে ঘুমনো তাঁর অভ্যেস। তুরুপের জন্যও রাত জাগতে হয়। সে সময় বসে করে ফেলেছেন এই সেলাই।
গত ১১ অগস্ট তুরুপের অন্নপ্রাশনে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানালেন তিনি। শুধু সেলাই নয়। স্নেহা গান গাইতেও ভালবাসেন। গান রেকর্ড করে ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ারও করছেন সেই গান। এ যেন নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানো। স্নেহার কথায়, “একটা জিনিস বিশ্বাস করি আমি, আগে লোককে বলতে শুনতাম, নিজের জন্য সময় লাগবেই। তার মানে বাচ্চাকে মা ভালবাসে না, তা তো নয়। বাচ্চার সঙ্গে সঙ্গে তো নিজের জীবনটাও এগোচ্ছে। ১০ শতাংশ সময় নিজের জন্য রাখা উচিত। আগেও হয়তো মায়েরা ভাবত। লোকলজ্জার ভয়ে বলতে পারত না। হয়তো ভাবত, নিজের জন্য সময় চাইব, ছি ছি, লোকে বলবে, মা হয়ে বাচ্চার প্রতি খেয়াল রাখছে না। আমি আমার ছেলেকে বোঝাতে চেষ্টা করব তোমার জীবন আছে, আমারও আছে। আমি তোমার জীবনকে সম্মান করব। তুমিও আমার জীবনকে সম্মান দাও। মা হওয়ার পর এক ধাক্কায় মেয়েদের জীবনটাও তো পাল্টে যায়। মা হিসেবেও তো এটা নতুন অভিজ্ঞতা।”
আপাতত সন্তান স্নেহার প্রায়োরিটি। ছেলে একটু বড় হলে ফের কাজে ফিরবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কবে তা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন, ‘জীবন পারফেক্ট নাও হতে পারে, কিন্তু…’ কী বলতে চাইলেন দেবলীনা?