মেকআপ রুমের টেবিল। আয়না বসানো টেবিলে সাজগোজের জিনিসে ভর্তি থাকে অন্য দিন। আজ সেখানে গণেশ মূর্তি। ফল, মিষ্টি, ধুপ ধুনো, প্রদীপে সাজানো। ঠিক এ ভাবেই ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সেটে পালিত হল গণেশ চতুর্থী। পুজো করলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা।
ক্যাপশনে সৌমিতৃষা লিখেছেন, ‘আমাদের গণশু’। পুজোয় হাজির ছিলেন কলাকুশলীরা। ছোট্ট করে নিজেদের মতো করে পুজোর আয়োজন করেছিলেন ‘মিঠাই’-এর সদস্যরা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক বছর ধরে গণেশ পুজোর রমরমা শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকের সেটেও এই আয়োজন দেখে খুশি দর্শক।
ভাল কাজ করলে, তার ফল মিলবেই। এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা। যাঁকে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক-এ প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন দর্শক। ভাল কাজ, অর্থাৎ মন দিয়ে নিজের কাজ। সেটাই করে যাচ্ছেন সৌমিতৃষা। তার ফল মিলেছে হাতে নাতে। দেখতে দেখতে ২০০ পর্বের মাইলস্টোন পেরিয়ে গেল এই ধারাবাহিক। মাস দুয়েক আগে সেটে কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিলেন তাঁরা।
সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌমিতৃষা লিখেছিলেন, ‘আমরা মিঠাই-এর ২০০ পর্ব পেরিয়ে এসেছি। আমার প্রথম দিনের প্রোমো, শুটিং সব মনে আছে। আউটডোরের কথাও মনে পড়ে। যত দিন এগিয়েছে, আমাদের টিমের বন্ডিং আরও ভাল হয়েছে। আমি নতুন একটা পরিবার পেয়েছি। এখানে সকলে আমাকে ভালবাসেন। সব সময়ই আমার প্রশংসা করেন। জীবনে যাই হয়ে যাক সকলে সব সময় আমার পাশে থাকেন। আমার মিঠাই পরিবারের জন্য অনেক ভালবাসা। আর দর্শককেও ধন্যবাদ। তাঁদের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও কিছু সম্ভব নয়।’
সৌমিতৃষা ছাড়াও এই ধারাবাহিকের আরও এক সম্পদ অভিনেতা আদৃত রায়। ছোট পর্দায় কাজ করার আগে আদৃত বড় পর্দায় কাজ করেছেন। রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থার তিনটি ছবি ‘নূরজাহান’, ‘প্রেম আমার টু’, ‘পরিণীতা’ ও দেবের প্রযোজনা সংস্থার একটি ছবি ‘পাসওয়ার্ড’-এ দর্শক তাঁর অভিনয় দেখেছেন। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে অভিনয় তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
আরও পড়ুন, ‘মামার নাম ছাড়া শো হিট করাতে পারে না অভিষেক’, গোবিন্দার ভাগ্নেকে বিঁধলেন সুনীতা
আরও পড়ুন, World Suicide Prevention Day: প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা একজনের, রোধের উপায় কী-কী?