Sudipa Chatterjee: জনরোষের মুখে সুদীপা, ‘ব্যক্তিজীবনে আহত বলেই ট্রোল করছে’, বললেন তিনি
কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত? দিন কয়েক আগেই অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, 'ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার'। অর্থাৎ অন্য মায়ের সন্তান হলেও আমার ভাই।
গত তিন দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশের রোষের মুখে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত ও পরে তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, অনেকে আবার অভিনেত্রীকে বয়কট করারও ডাক দিয়েছেন। এর পরেই দিন তিনেক পর এক লাইভে এসে মুখ খুললেন সুদীপা। বললেন, “ব্যক্তিজীবনে আহত মানুষরাই আমাকে নিয়ে ট্রোল করছে’।
কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত? দিন কয়েক আগেই অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার’। অর্থাৎ অন্য মায়ের সন্তান হলেও আমার ভাই। এর পরেই সেখানে এক নেটিজেন অঙ্কুশের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে সুদীপাকে লেখেন, ‘ইনি কি আপনার নতুন স্বামী’? উত্তরে সুদীপা লেখেন, “কী মজাদার, ভগবান আপনার মঙ্গল করুন”। ব্যাপার যদিও এখানেই থামেনি। খানিক পরেই ওই পোস্টের মন্তব্য বক্সে এক ব্যক্তি সুদীপাকে তাঁর গলার হার সংক্রান্ত এক প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞাসা করেন, “শাড়িটা কি ঢাকাই, নেকলেস টা কি রুপোর”? সাদা মাঠা প্রশ্ন। কিন্তু সেই মহিলাকে ট্যাগ করে সুদীপা উত্তর দেন, “আমি জানি না বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গ্যাছে। কারও কারও কাছে যে সহজ সরল বাংলা ভাষা বা সামান্য ইংলিশ তাঁরা বোঝেন না… আমি ফেক জুয়েলারি পরি না। এখানে সোনা রূপো দুটোই আছে। মানুষ বড্ড অশিক্ষিত। গেট অ্যা লাইফ।”
এর পরেই কার্যত সুদীপাকে তুলোধনা করে নেটিজেন। কী করে সোনা রূপো ছাড়া অন্য গয়নাকে তিনি ‘ফেক’ বলতে পারেন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, সুদীপা ইংরেজিতে লিখেছিলেন, ‘I dont ware fake jewelleries’.. নেটিজেনদের কেউ কেউ তাঁকে সংশোধন করেও দেন ‘ওয়্যার’-এর ইংরেজি বানান ওটি নয়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি কমেন্ট করেন সুদীপা। লেখেন, “আমি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ওকে রিপ্লাই করেতে চাইনি। অন্য একজনকে করতে গিয়েছিলাম।” তবে একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “ভাইকে যদি কেউ নতুন হাজব্যান্ড বলে অপমান করে তখন কি মাথার ঠিক থাকে?” অহংকারী, বদমেজাজি বদনামও যেমন জোটে সুদীপার, একই সঙ্গে কেউ কেউ আবার তাঁর পাশেও দাঁড়ান। যদিও কিছুক্ষণ পর সুদীপার ক্ষমা চাওয়া ও সেই ব্যক্তির কমেন্ট কিছুই আর দেখা যায় না। ততক্ষণে যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সুদীপা চুপ ছিলেন। তবে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসে মুখ খুললেন তিনি। শাড়ির লাইভের একেবারে শেষে এই প্রসঙ্গ টেনে এনে সুদীপা বলেন, “নীরবতা মানে দুর্বলতা নয়। মানুষকে আঘাত করার মধ্যে কি বীরত্ব আছে? মানুষকে ভালবাসুন।” তিনি না থেমে জিওগ করেন, “আমি ভেবেছি কেন আমাকে নিয়ে ট্রোলিং করছেন। মনে হয়েছে যারা করছেন, তাঁরা ব্যক্তিজীবনে আহত। হয়তো স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছে, বা গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমাকে আঘাত করে যারা এত আনন্দ পাচ্ছেন প্লিজ ক্যারি অন। আমাকে ভাঙা সহজ নয়। ট্রোল করলে দুঃখ পাব। কিন্ত অভ্যেস হয়ে যাবে। এগিয়ে যাব।” যদিও এখানেই ট্রোলিং থামেনি। তা চলেই যাচ্ছে।