যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদ তো আপনারা জানেন। কিন্তু যিনি রাঁধেন, তিনি খেলাও দেখেন। এমনকি মাঠে নেমে ফুটবল, ক্রিকেট খেলেন। তিনি অর্থাৎ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। জনপ্রিয় শো ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকা। তা ছাড়াও সুদীপার অনেকগুলো পরিচয় রয়েছে। কিন্তু সঞ্চালিকা হিসেবে তিনি বাঙালি দর্শকের ঘরে ঘরে সমাদৃত।
এ হেন সুদীপার সোশ্যাল ওয়াল গত কয়েকদিন ধরে ভরে রয়েছে ফুটবলের আপডেটে। কখনও ইউরো কাপ, কখনও বা কোপা আমেরিকার ম্যাচের আপডেট দিচ্ছেন নিয়মিত। রাত জেগে অথবা ভোরে ঘুম থেকে উঠে খেলা দেখছেন তিনি। খেলার প্রতি এই ভালবাসা কী ভাবে তৈরি হল?
সুদীপা বললেন, “আমাদের খেলা পাগল বাড়ি। আমি নিজে মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য। খেলা, গান, সাহিত্য- ভাল লাগা, না লাগার কোনও অপশন ছিল না। পাঁচ ভাই, একটা ছোট বোন ছিলাম আমি। বাকি দিদিদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। দাদারা খেলা নিয়েই আলোচনা করত। ওদের বল নর্দমায় পড়ে গেলে কুড়িয়ে আনতাম এক ওভার ব্যাট করতে দেবে সেই শর্তে। দূরের ফিল্ডার হতাম আমি। এখনও ফুটবল খেলতে পারি।”
কোপা আমেরিকা ম্যাচ দেখানো হচ্ছে ভারতীয় সময় ভোরে। আর ইউরো কাপের ম্যাচ চলছে ভারতীয় সময় রাতে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও দাদাদের সঙ্গে বসে ম্যাচ দেখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন সুদীপা। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিচ্ছেন। আর হোয়াটস্অ্যাপের ফ্যামিলি গ্রুপে লেগ পুলিং চলছে অনবরত।
সুদীপা এবং পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে আদিদেব এখনও অনেকটা ছোট। তবুও ছেলের মধ্যেও ধীরে ধীরে খেলার প্রতি উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন। সুদীপা হেসে বললেন, “আদি মেসি কাকুকে চেনে। মেসি খেলছে, আমি দেখবো না, সেটা হতেই পারে না। আদির বাবা শেখায় মেসি মামা। আমি বলি, মেসি কিছুতেই মামা হতে পারে না, মেসি কাকু।”