‘আমার গোপাল’, জন্মাষ্টমীতে আদিদেভের বিশেষ ছবি শেয়ার করলেন সুদীপা

Sudipa Chatterjee: মা হওয়া যে কোনও মেয়ের কাছেই নিঃসন্দেহে অন্য রকম অনুভূতি। মাতৃত্বের পরিচয় যেন যে কোনও পরিচয়ের থেকেই বড় হয়ে ওঠে। মা হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন সুদীপাও।

‘আমার গোপাল’, জন্মাষ্টমীতে আদিদেভের বিশেষ ছবি শেয়ার করলেন সুদীপা
ছেলের সঙ্গে সুদীপা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 3:10 PM

কৃষ্ণ নীল এবং গাঢ় গোলাপি রঙের পোশাক। হাতে বাঁশি। কপালে টিপও রয়েছে। দুই হাতে ছোট ছোট বালা। ক্যামেরার দিকে চোখ নেই খুদের। বরং একটু অন্যদিকে লুক। হাতে রয়েছে লাড্ডু। লাড্ডু খেতে ব্যস্ত সে।

ঠিক এ ভাবেই একমাত্র সন্তান আদিদেভকে সাজিয়েছিলেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়আদিদেভের এই ছবি নতুন নয়। কিন্তু আজ জন্মাষ্টমীর দিন এই ছবি উপযুক্ত। সে কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ছেলের এই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন সুদীপা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার গোপাল।’

মা হওয়া যে কোনও মেয়ের কাছেই নিঃসন্দেহে অন্য রকম অনুভূতি। মাতৃত্বের পরিচয় যেন যে কোনও পরিচয়ের থেকেই বড় হয়ে ওঠে। মা হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন সুদীপাও। টেলিভিশনে বিভিন্ন রকম কাজের সঙ্গে জড়িত তিনি। কখনও রান্নার শো-এর জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর। কখনও বা স্ক্রিপ্ট লিখছেন। কখনও আবার তিনি পরিচালকের আসনে। সদ্য নিজের বুটিক শুরু করেছেন। পেশাদার জগতে বিভিন্ন রকম পরিচয় রয়েছে তাঁর। আবার ব্যক্তি জীবনেও কখনও তিনি স্ত্রী, কখনও বা মেয়ে। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে মায়ের পরিচয়টাই যেন এখন তাঁর জীবনের অন্যতম সম্পদ।

সুদীপার ছেলে আদিদেভ চট্টোপাধ্যায় জন্মের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন। আদিদেভকে পছন্দ করেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আদিদেভের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেন সুদীপাও। বেশ কয়েক মাস আগে ছেলের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘মা হওয়াটা আমার অস্তিত্বের জন্য এখন যথেষ্ট…অভিভাবক হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কিন্তু আপনাকে খুব দ্রুত শিখতে হবে। শিখতে হবে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই।’ সুদীপার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর আদিদেভের জন্ম। ফলে প্রথম সন্তানের জন্য বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন দম্পতি। মা হতে গেলে শরীরে এবং মনে যে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা পুরোদস্তুর নেওয়ার পরই সন্তানের সিদ্ধান্ত নেন সুদীপা। আদিদেভের জন্মের পর ছেলের প্রতিটি কাজ নিজে হাতে করেছেন। দীর্ঘদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছিলেন সুদীপা। আসলে ছেলের বড় হওয়ার কোনও মুহূর্ত মিস করতে চাননি তিনি। অভিভাবকত্বের পাঠ নিয়েছেন সন্তান আগমনের আগে থেকেই। সেই পাঠ নিতেই তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুরাগীদের।

শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর জন্মাষ্টমী পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণ দুধ, ঘি, দই এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যের প্রতি তাঁর চিরন্তন ভালবাসার জন্য পরিচিত, তাই এই উপলক্ষে পঞ্চামৃত তৈরি করে উত্‍সর্গের চেয়ে অন্য কিছু ভাবা যায় না। জন্মাষ্টমীর ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার হল পঞ্জিরি। এই খাবার উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পাঞ্জাব এলাকায় জনপ্রিয়। ধনের বীজ গুঁড়ো, চিনি গুঁড়ো, দেশি ঘি, কাজু বাদাম, বাদাম, পেস্তা এবং কিশমিশ দিয়ে তৈরি করা হয় পঞ্জিরি। সমগ্র ভারতেই জনপ্রিয় ক্ষীর বা পায়েস। বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন নাম ডাকা হয় এই মিষ্টিকে। তবে স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। দুধ, শুকনো ফল, চাল, সাবুদানা বা মাখনা দিয়ে তৈরি হয় ক্ষীর বা পায়েস। স্বাদের জন্য যোগ করা হয় এলাচ ও জাফরান। ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে অর্পিত করা ‘ছাপ্পান ভোগে’ এই মিষ্টি সবার প্রথমে রয়েছে।

আরও পড়ুন, সায়ন্তনের পরিচালনায় কমেডি অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে অভিনয়ে ফিরছেন কাঞ্চন