সায়ন্তনের পরিচালনায় কমেডি অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে অভিনয়ে ফিরছেন কাঞ্চন
Kanchan Mullick: ‘হীরক গড়ের হীরে’ সায়ন্তনের সাত নম্বর ছবি। তিনি জানালেন, তাঁর পরিচালিত দুটি ছবি ‘টেনিদা’ এবং ‘স্বস্তিক সংকেত’ তৈরি হয়ে রয়েছে।
এখন আর শুধুমাত্র অভিনেতার পরিচয় তাঁর নয়। তিনি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। নির্বাচিত বিধায়ক। তিনি অর্থাৎ কাঞ্চন মল্লিক। ফের ফিরছেন অভিনয়ে। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘হীরক গড়ের হীরে’-তে ফের দেখা যাবে কাঞ্চনের অভিনয়।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে সায়ন্তন বললেন, “এই ছবিটা কমেডি অ্যাডভেঞ্চার বলতে পারেন। আবার রোম্যান্টিক ফ্লেভারও রয়েছে। সোহম, বনি, কৌশানী, আয়ুষী, কাঞ্চনদা, বিশ্বনাথদা অভিনয় করছেন। ডুয়ার্সে, কালিম্পংয়ে আউটডোর শেষ করে ফিরলাম। আরও কয়েকদিনের কাজ বাকি কলকাতায়।” সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকেই রিলিজের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন পরিচালক।
‘হীরক গড়ের হীরে’ সায়ন্তনের সাত নম্বর ছবি। তিনি জানালেন, তাঁর পরিচালিত দুটি ছবি ‘টেনিদা’ এবং ‘স্বস্তিক সংকেত’ তৈরি হয়ে রয়েছে। প্যানডেমিকের কারণে এখনও পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। এই ছবিটা নাকি তাঁর কাছে অনেক দিক থেকেই বেশ আলাদা। সায়ন্তনের কথায়, “এই ছবিটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। এতটা মেনস্ট্রিম ছবি এর আগে করিনি। রোম্যান্টিক কমেডি অ্যাঙ্গেল আছে। গান আছে দুটো। আমার ছবিতে এই ধরনের গানও নতুন। অন্যরকম কিছু ট্রাই করছি। দেখা যাক।”
সায়ন্তনের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক, গৌরব চক্রবর্তী অভিনীত সে ছবি দর্শকের বড় অংশের ভাল লেগেছিল। নতুন প্রজন্মের পরিচালকদের মধ্যে সায়ন্তনের কাজও বেশ পছন্দ করছেন দর্শক। অন্য ধরনের ছবিতে পরিচালক হিসেবে তাঁর মুন্সিয়ানা দেখার অপেক্ষায় থাকবেন দর্শক।
অন্যদিকে রাজনীতি এবং অভিনয় দুটো দিকই ব্যালেন্স করে কাজ করছেন কাঞ্চন। কয়েক দিন আগেই ব্যক্তি জীবনের কারণে শিরোনামে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। শ্রীময়ীর বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পিঙ্কি। সে সময় কাঞ্চন দাবি করেছিলেন, গত আট বছর ধরে তিনি একা থাকেন বাড়িতে। পিঙ্কি বহু বছর তাঁর সঙ্গে থাকেন না। ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন। তবে ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন বলে দাবি করেছিলেন কাঞ্চন। ছেলের সব খরচের দায়িত্বও তাঁর। ভবিষ্যতেও সে দায়িত্ব পালন করারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। পিঙ্কির কাছে কাঞ্চন দাবি করেছিলেন, “ছেলেকে সামনে রেখে এগুলো করো না। আমি হাতজোড় করে পিঙ্কি এবং ওর বাড়ির লোকের কাছে অনুরোধ করছি। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। কোথাও বেরনোর মুখ নেই। আমার এ বার ভয় লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কী জবাব দেব?” পিঙ্কির বিরুদ্ধে কাঞ্চনও পাল্টা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই বিতর্ক আপাতত অতীত। ফের কাজে ফিরেছেন দেখে খুশি কাঞ্চনের অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন, সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নুসরত, পাশে সর্বক্ষণের সঙ্গী যশ