পরনে লাল ব্লাউজ। সবুজ শাড়ি। খোঁপা, কপালে চন্দনের লম্বা টিপে দর্শকের চেনা ‘শ্যামা’। অর্থাৎ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’র অভিনেত্রী তিয়াশা রায়। কিন্তু তাঁকে অনস্ক্রিন যেমন দেখেন, এ বার তার থেকে একটু আলাদা। ‘শ্যামা’ যদি ‘একবার চেহেরা হটা দে শরাবি’র তালে নাচেন, তা হলে সে দৃশ্য তো দর্শকের জন্য নতুন হবেই।
ঠিক তাই। বলিউডের ওই বিখ্যাত গানের তালে নেচে উঠলেন ‘শ্যামা’। তবে তিনি একা নন। সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিনের ছেলে এবং জামাই। অর্থাৎ অভিনেতা অধিরাজ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রৌনক দে ভৌমিক। ‘কৃষ্ণকলি’ যে চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়, সেই সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে দর্শক দেখেছেন শ্যামার এই নাচ। আসলে মজা করে ইনস্টাগ্রাম রিল তৈরি করেছেন তাঁরা।
তিন বছর আগে ১৮ জুন প্রথম টেলিকাস্ট হয়েছিল ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শ্যামা হিসেবে অভিনেত্রী তিয়াসা রায়ের সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকের পছন্দের হয়ে উঠেছেন তিনি। ১০০০ এপিসোড পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেই সেলিব্রেশনে তিয়াষা বলেছিলেন, “প্রথম যেদিন এক নম্বর এপিসোডের শুটিং করেছিলাম, জানতাম না একের পাশে একদিন আরও তিনটে শূন্য আসবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এক এর পাশে তিনটে শূন্য নিয়ে আসার জন্য। ক্যামেররা পিছনেও অনেকে রয়েছেন, সকলের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। এই ‘কৃষ্ণকলি’তে এসেই আমি একটা মেয়ে, ছেলে, জামাই পেয়েছি। নাতি নাতনির মুখও যেন দেখে যেতে পারি।”
ক্যামেরার সামনে যেমন একটা গোটা পরিবার দেখেন দর্শক, অফ ক্যামেরাও পরিবারের মতোই সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে কলাকুশলীদের। এতগুলো দিন একটা প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে কৃষ্ণকলি। যদিও কলাকুশলীরা এখনই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
আরও পড়ুন, জন্মের পরই আইসিইউতে সন্তান, সময়ের আগে মা হলেন দিয়া মির্জা