পুজো আসছে। দুর্গাপুজো। কী ভাবে বুঝবেন? একটু একটু করে বদলাবে রোদ্দুরের রং। ভোরের দিকে হালকা ঠাণ্ডার অনুভূতি। কুমোর পাড়ায় বাড়বে ব্যস্ততা। আর ফাইনাল বেল পড়বে মহালয়ার ভোরে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়া বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। রেডিও যেন বাঙালির বাড়িতে ওই একটা দিনই আজও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মহালয়া শুধুমাত্র রেডিও নস্ট্যালজিয়া নয়। টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলেও মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। কোন চ্যানেলে কোন অভিনেত্রী দুর্গা হবেন, তা নিয়ে আগাম জল্পনা চলতে থাকে। শুধু দুর্গা নন, বাকি দেব-দেবীদের নিয়েও তো জল্পনা তৈরি হয়। তবে দুর্গাকে ঘিরে আলাদা উৎসাহ থাকেই। দুর্গার সাজ-পোশাক নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকে। চলতি বছর মহালয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে দুর্গার ভূমিকায় দেখা যাবে কোয়েল মল্লিক, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নায়িকাদের। শোনা যাচ্ছে, একটি চ্যানেলে দুর্গার ভূমিকায় থাকতে পারেন দিতিপ্রিয়া রায়ও। এর মধ্যেই মহালয়ার শুটিং সেরে ফেললেন অভিনেত্রী ঊষসী রায়।
সদ্য ইনস্টাগ্রামে নিজের দুটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। গোলাপি-হলুদ কম্বিনেশনের শাড়ি। ভারী গয়নার সাজ। কপালে রয়েছে তৃতীয় নয়নও। আগামী ৬ অক্টোবর কালার্স বাংলার মহালয়া অনুষ্ঠানে তাঁকে এই লুকে দেখা যাবে সে তথ্য নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে কোন চরিত্রে তা খোলসা করেননি।
‘মিলন তিথি’, ‘বকুল কথা’, ‘কাদম্বিনী’- তিনটি ভিন্ন ধারার ধারাবাহিকে তাঁর কাজ দেখেছেন দর্শক। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি টেলিভিশনে নেই। অথচ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করলে নিয়মিত আপডেট দেখা যাচ্ছে। তা হলে এখন অভিনেত্রী পেশার জগতে ঠিক কী করছেন? কিছুদিন আগে এ প্রশ্ন করতেই TV9 বাংলাকে হেসে ঊষসী বলেছিলেন, “শুধু শুট করছি আর ছবি আপলোড করছি। কিছু করে তো নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এটাও ভাল লাগছে। এনজয় করছি। যে কাজ করেছি, সেগুলো নিয়ে কথা বলা বারণ। একটা ওয়েব সিরিজ করেছি একটা শেষ করেছি। আর একটা শুরু হবে। কিন্তু সেগুলো কী, চরিত্র কেমন, কিছুই এখন বলতে পারব না।”
ঊষসীকে ফের ধারাবাহিকে দেখতে চান দর্শক। সেখানে তিনি কবে ফিরবেন? অভিনেত্রী বলেছিলেন, “মিলন তিথি, বকুল কথা, কাদম্বিনী, তিনটে তিন রকমের কাজ। বকুলের মতো চরিত্র টেলিভিশনে আগে হয়েছে কি না, জানি না। কাদম্বিনীর চরিত্রে অভিনয় তো আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। আমি সব সময়ই এর থেকে ভাল কিছু করতে চাইব। যা এই তিন চরিত্রের থেকে আলাদা। এখনও সে রকম লোভনীয় চরিত্র পাচ্ছি না বলে ফিরছি না।”
টেলিভিশনের চেনা রুটিনের অনভ্যাস কী কী শিক্ষা দিল? ঊষসী স্বীকার করে নিয়েছিলেন, কাদম্বিনীর পরে এখনও পর্যন্ত কোনও ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। তাঁর কথায়, “গত এক বছরে আমার প্রচুর পরিবর্তন হচ্ছে। মানসিক দিক বা অন্য দিক থেকে। এটাও একটা জার্নি। প্রত্যেকটা দিন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি শিখছি। এতদিন টেলিভিশন করতাম। রুটিন লাইফ ছিল। জানতাম এই সময়ে কল টাইম, এই সময়ে প্যাক আপ। কোনও রিস্ক ছিল না। টেনশন ছিল না। এখন বিষয়টা হল, প্রত্যেক দিন জানিই না, পরের দিন কী করব। কী চরিত্র আসতে চলেছে। এই ট্রানজিশন ফিল করতে পারছি। অনেকটা অন্যরকম।”
আরও পড়ুন, অঙ্কিতার বাড়ির পুজো, কারা উপস্থিত ছিলেন?
আরও পড়ুন, সুমনা, ঊর্বশীর বিকিনি লুক, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়…