Valentine’s Day: ‘আমার পাশে থাকা ‘মানুষ’ যদি ভূত হয়, তাহলে ভালবেসে ‘ভুতো’ ডাকতে চাই’

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Feb 13, 2022 | 3:25 PM

রোম্যান্টিক জায়গায় নয়, আমাকে রাতের আলোয় কলকাতা দেখাবে সে। চাঁদের মায়াবী আলোয় তিলোত্তমা দেখা আমার ভ্যালেন্টাইনস ডে-র উইশ। সাধারণভাবে আমাকে ভাল লাগলে, আমি তাঁকে সারাজীবন রেখে দিতে চাই।

Valentines Day: আমার পাশে থাকা মানুষ যদি ভূত হয়, তাহলে ভালবেসে ভুতো ডাকতে চাই

Follow Us

ভূতের রাজার তিন বর পেতে কে না চায়! এমন তিন তিনটে খাসা বর পেলে জীবনটাই যে বর্তে যাবে! তবে ভূতের রাজার তিন বর নয়, চাই গোটা একটা আস্ত ভূত! তা সে মামদো ভূত, ব্রেহ্মদত্যি যাই হোক না কেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ভূতের সঙ্গেই ডেটিংয়ে যেতে রাজি বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। প্রেম দিবসে ভূতের সঙ্গে প্রেম করতে কোথায় যাবেন, অকপট এই দুষ্টু-মিষ্টি অভিনেত্রী।

শ্যুটিংয়ের জন্য এত ব্যস্ততা যে নিজের জন্য ক্ষনিকের শান্তি যেন শরীরকে শান্ত করতেই চায় না। সিরিয়ালে প্রেম দিবসের জন্য সাজানো হয়েছে ফ্লোর, এদিকে আকাশে-বাতাসে ম ম করছে ভালবাসা আর বসন্তের সুমধুর গন্ধ। আমি ভূতে বিশ্বাস করি। আমার এটাও বিশ্বাস যে তেনারা সকলেই রয়েছেন। আত্মা যে রয়েছে, সেটাও বিশ্বাস করি আমি। কিন্তু আমার কি সেই সৌভাগ্য রয়েছে যে কোনও আত্মা বা ভূতের সামনে একদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারব? কারণ রামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘ভূত দেখা আর ভগবান দেখা সমান’। আর যদি কোনওদিন এমন সুযোগ হয়, আমি জানি না কী করব। কিন্তু এটা সিওর যে ভূতের সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে বললে, আমি সেই সুযোগ হাতছাড়া করার পক্ষপাতী নই।

রোজ রাতে শ্যুটিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদিনই ভাবছি একটা ভূত জুটলে কেমন হয়! ভূতের রাজার সেই তিন বর নয়, চাই একটা সুন্দর দেখতে ভূতের সঙ্গ। যেমনটা টোয়ালাইট সিনেমায় সুন্দর সুন্দর ভ্যাম্পারগুলো ছোটাছুটি করে, তরতর করে গাছে উঠে যায় প্রেমিকাকে নিয়ে তেমনি ভূত চাই আমার। এটাই মোদ্দা কথা নয় যদিও। সিনেমায় রবার্ট প্যাটিনসনকে দেখে জাস্ট পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। প্রেমে গদগদ একেবারে। এমনটা হলে, প্রেম দিবসের জন্য শুধু নয়, সারা জীবন তাঁর সঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারি। ভ্যালেন্টাইনস ডে এলেই সকলেই চায় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে, আমিও চাই। কিন্তু আমার যে ‘প্রিয় মানুষ’ ভূত। ভূত বলে কি ‘মানুষ’ নয় নাকি সে! আলবাত সে ‘মানুষ’। আমার পাশে থাকা ‘মানুষ’ যদি ভূত হয়, তাহলে আমার কোনও অসুবিধা নেই। বরং ভালবেসে ডাকতে চাই ‘ভুতো’!

সকলেই জানতে চায় সিরিয়ালের পরবর্তী এপিসোডে কী দেখা যাবে, আমাকে এরপর চরিত্রের জন্য কেমন ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু আমার জীবনের স্পেশাল দিনে আমাকে নিয়ে নয়, আমি শুনতে চাই তাঁর কথা। আমি সেদিন কোনও কথাই বলব না। বলবে সে। রোম্যান্টিক জায়গায় রোম্যান্টিক মুহূর্তে শুধুই তাঁর কথা শুনতে চাই। কিন্তু ওই খেঁকি সুরে নয়। আগের জন্মে যেমন ঝরঝরে বাংলায় কথা বলত, সেই কণ্ঠেই আমার সঙ্গে সেদিন কথা বলবে। আমার ভাল-লাগা, আমার জীবনের লক্ষ্য নয়, তাঁর জীবনের কাহিনি শুনে যেতে চাই। ভাবছেন বড্ড সিরিয়াস কথাবার্তা চলবে। আজ্ঞে না। সেও খুব মজা করে বলবে, আমি তাঁর কথা শুনে প্রাণ খুলে হাসব। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ যে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, তাতে আঁতলেমি নয়, বরং প্রাণের মানুষের সঙ্গে মন খুলে জমিয়ে আড্ডা দিতে চাই। তাঁর অজানা-শেষ না হওয়া কথাই আমি শুনতে চাই। আর যদি তাঁর কথাবার্তা আমার মনে ধরে যায়, তাহলে আমি বিয়েও করে নিতে পারি। সে আমি পারি। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। সিরিয়ালে দেখেননি , যে কথা আমি প্রোমিস করি, সেই কথা রাখতে আমি সব কিছু করতে পারি। এ তো আমার তো আমার ‘প্রাণের মানুষ’।

যদি প্রশ্ন করেন, আমি কোথায় যেতে চাই, তাহলে বলব প্রেম দিবসে কোনও ড্রিম ডেস্টিনেশনে নয়, যেতে চাই ভূতেদের রাজ্যে। আমার তেমন স্বপ্নের গন্তব্য নেই, তবে প্রেম দিবসে যদি ভূতের সঙ্গে ডেটে যেতে বলা হয়, তাহলে আমি সেখানেই যেতে রাজি হব, যেখানে ওই ভূত আমার সঙ্গে কমফর্ট থাকতে পারে। ভূতেদের জায়গা বলে ছোটবেলা থেকে তো অনেক কথা শুনে আসছি, কিন্তু দেখা হয়ে ওঠেনি। তাই আমার কাছে যখন সুযোগ এসেছে, তখন ভ্যালেন্টাইনস ডে-র জন্য সেটাই হল আদর্শ জায়গা, কী বলেন?

ডেটিংয়ে যাব, এদিকে খাওয়া-দাওয়া হবে না, তা কী করে হয়? কিন্তু আমি খেতে চাই না। চাই সেই ভূতের সঙ্গে একাত্ম হতে। আমি তার কাছ থেকে গল্প শুনতে চাই। সে আমাকে তাঁর জীবনের নানান কাহিনি কানের কাছে এসে বলে যাবে। ভূতের সঙ্গে ডেটিংয়ে গিয়ে খাওয়া তো হবেই,তবে আমার কৌতূহল অন্যদিকে। সে কোথা থেকে এসেছে, আমাকেই বা কেন ভাল লাগল! কীভাবে ভূত হল, আমি এগুলো আগে জানতে চাইব। প্রচুর প্রচুর গল্প শুনে চাই।

তবে হ্যাঁ, এটাও বলে রাখি, ভূতের সঙ্গে যখন ডেটিংয়ের সুযোগ পাই, তাহলে আমি তাকে সব আয়োজন করার অর্ডার করব। আমিই বলব, এখানে এটা কর, ওটা ওখানে কর। আমি করলে তো অনেক খাটনি। সে করলে একট পলকেই কাজ হয়ে যাবে। সেই আমাকে নিয়ে যাবে ঘোরাতে। রোম্যান্টিক জায়গায় নয়, আমাকে রাতের আলোয় কলকাতা দেখাবে সে। চাঁদের মায়াবী আলোয় তিলোত্তমা দেখা আমার ভ্যালেন্টাইনস ডে-র উইশ। সাধারণভাবে আমাকে ভাল লাগলে, আমি তাঁকে সারাজীবন রেখে দিতে চাই। এর থেকে আর কী-ই ভাল হতে পারে। ভালোবাসার মানুষ হিসেবে ভূতকে পাচ্ছি, ছাড়ব কেন! কষ্ট করে যদি ভূতকেই প্রাণে ধরে, তাহলে সে ভূতই হোক।

 

অনুলিখন: দীপ্তা দাস

 

আরও পড়ুনValentine’s Day: টিন্ডার-প্রেম… App মুঝে অচ্ছে লগনে লগে

আরও পড়ুনValentine’s Day: ‘টক-ঝাল-মিষ্টি লজেন্সের মতোই আমাদের সম্পর্কে ওঠানামা এসেছে’, এক দৃষ্টিহীন প্রেমিকের আত্মকথা

Next Article