প্রসেনজিতের জন্য আক্ষেপ ঋতুপর্ণার, ‘দেখা হলে এসব আলোচনার সময় থাকে না…’

Rituparna Sengupta: 'মিসেস সেনগুপ্তা'র সেটে হাজির TV9 বাংলা। রোদে পোড়া দুপুরে ঘেমেনেমে অভিনয় করছিলেন টলিউডের কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শুটিংয়ের ফাঁকে কথা হল। আসন্ন কাজ থেকে শুরু করে রাজনীতি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়--সব নিয়েই চলল আড্ডা।

প্রসেনজিতের জন্য আক্ষেপ ঋতুপর্ণার, 'দেখা হলে এসব আলোচনার সময় থাকে না...'
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2024 | 12:17 PM

বৈশাখের প্রখর রৌদ্রে তেতেপুড়ে যাচ্ছেন টলিউড কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি ব্য়স্ত মানুষ। এই ঠাঠা গরমেও শুটিং ফ্লোরেই দেখা মিলল ‘মিসেস সেনগুপ্তা’। ঋতুপর্ণার নতুন ছবির নামও’মিসেস সেনগুপ্তা’। সেই ছবির শুটিং ফ্লোরে হাজির হয়েছিল TV9 বাংলা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই–কাজের ফাঁকে একটু আড্ডা দেওয়া। দুটো শটের মাঝেই প্রতিনিধিকে দেখে একগাল হাসি দিলেন অভিনেত্রী। শট শেষে ঋতুর উদ্বেগ,”এই রোদে এসেছ, ঠান্ডা কিছু খেয়েছ?” তারপরই বলে বসেন, “আমার এই লুকের ছবি নিওনা কিন্তু”।

কিন্তু শুটিংয়ের ফাঁকেই যে সময় দিতে পারবেন ঋতুপর্ণা। কেন না, প্যাকআপ হলেই তাঁকে ছুটতে হবে মুম্বই। তারপর সিঙ্গাপুর। ঋতুপর্ণা জানালেন, তাঁর মা এবং শাশুড়িমা দু’জনেই খুবই অসুস্থ। শুটিং সামলে দু’জনকেই সময় দিতে হচ্ছে তাঁকে।

আর এই সব সামাল দিতে গিয়েই যে সব জায়গা পৌঁছতে দেরি করে ফেলেন ঋতু। তাঁর এই স্বভাবের কথা সকলেই জানেন। তাঁর এই দেরি করা নিয়েও কথা হল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি নিজের আত্মজীবনী লিখেন, তা হলে কি নাম দেবেন, “পথে হল দেরি”? প্রশ্ন শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। বললেন, “এটা বেশ ভাল আইডিয়া। অনেক সময় সব কাজ সামলে উঠলেও খুবই দেরি করে ফেলি। তবে চার ঘণ্টা দেরি করলেও দু’ঘণ্টায় কাজটা তুলে দিই।”

এই খবরটিও পড়ুন

এই দেরি করা নিয়ে অনেক ঘটনা আছে ঋতুপর্ণার জীবনে। একবার একটি ছবির শুটিংয়ে দেড় ঘণ্টা দেরি করে এসেছিলেন বলে অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী ছবির প্যাক আপ করে দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেছেন, “দুলালদা আমার অভিভাবক। বকতেই পারেন। সেই বকায় আমার উপকারই হয়েছে। আমি চাইব আগামীদিনেও দুলালদা আরও বকাঝকা করুক।”

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর আগামী ছবি ‘দাবাড়ু’। সেই ছবিতে বহুদিন পর অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা–একটি বায়োপিকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অভিনেত্রীর সংযোজন, “আমার অভিনীত চরিত্রটির মধ্যে অনেক লেয়ার রয়েছে। ছেলের সঙ্গে মায়ের বন্ডিংয়ের গল্প। আমার মনে হয়, প্রত্যেক বাচ্চার এবং তাঁদের অভিভাবকদের এই ছবিটা দেখা উচিত। খেলা ভালবাসুক বা না বাসুক, এই ছবি দেখতেই হবে। গরমের ছুটিতে উপভোগ করার মতো ছবি।”

সিনেমার গল্পের মাঝেই, রাজনৈতিক আলোচনা হল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, টলিউডের রাজনীতির থেকে দূরে থেকেও কোন জাদুতে তিনি সকলের জন্য এত কাজ করছেন? পেয়েছিলেন কি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব? জবাবে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, “একটা কথা আছে, জ্যাক অফ অল ট্রেডস, মাস্টার অফ নান–সেটা আমি একেবারেই হতে চাই না। আমি জীবনের রাজনীতিই বুঝতে পারি না। সেখানে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কথা ভাবতেই পারি না। আমি সিনেমা তৈরি করি। নাচ-গান-লেখা-আঁকা-সংসার নিয়ে থাকি। যেটা বুঝি না করি না। তাই রাজনীতির বিষয় থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি।”

এই বছর ঋতুপর্ণার থেকে আরও অনেক উপহার পেতে চলেছেন দর্শক। ‘দাবাড়ু’র পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পঞ্চাশতম ছবি ‘অযোগ্য’ মুক্তি পাবে। তারপরই ‘মিসেস সেনগুপ্ত’ আসবে সিনেমা হলে। এছাড়াও বলিউডে কিছু কাজ আছে। ‘অযোগ্য’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নায়িকা বললেন, “দর্শকদের ভালবাসাতেই আমার আর বুম্বাদার পঞ্চাশতম ছবি মুক্তি পাবে। শুনেছি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও এটি স্থান পেতে পারে।”

প্রসেনজিৎও রাজনীতি থেকে দূরেই থাকেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই কি ঋতুপর্ণা রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ঋতুপর্ণার জবাব, “একদম নয়। আমাদের খুব কম কথা হয় বা দেখা হয়। দেখা হলে এ সব আলোচনার সময় থাকে না। বরং আরও ভাল করে কীভাবে কাজ করব, সেটা নিয়ে কথা হয়। চিত্রনাট্য নিয়ে কথা বলি। কীভাবে চরিত্রে উন্নতি করব–এসব নিয়েই আলোচনা করি।”