কলকাতা: দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এমনকি, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করা যেতে পারে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এ বার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। সোমবার সাউথ সিটি স্কুলে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। ক্ষমতায় আসার জন্য কমিশনকে ‘ব্যবহার’ করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন তিনি।
এ দিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে দেব বলেন, “কোথাও যেন আমরা অনাথের মতো আছি। না ঠিকমতো অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না কিছু। তাই চাইব সরকার তাড়াতাড়ি আসুক এবং বাংলার মানুষের লক্ষ্য রাখুক। এ বলছে আমার না ও বলছে আমার না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় দিদির আসা উচিত। এখন কাউকে আগলে রাখতে হবে।”
এরপরই কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় তাঁকে। “গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দেখছে ক্ষমতায় আসার জন্য কীভাবে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলায় নির্বাচনের কারণে কোভিড মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে। অক্সিজেন, বেড পাওয়া যাচ্ছে না। (নির্বাচন না থাকলে) এতদিনে তো নাহলে ইন্ডোর স্টেডিয়ামগুলো হাসপাতাল হয়ে যাওয়া উচিত ছিল,” বলেন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ।
আরও পড়ুন: ‘খুনের মামলা হওয়া উচিত’, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী কমিশন, ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, এ দিন বাংলার ভোট আট দফায় করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?” এর আগেও করোনাবিধিতে গাফিলতি হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল কমিশন। তবে কার্যত বেনজিরভাবে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘খুনের মামলা’র হুঁশিয়ারি দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে নোটিস সিবিআই-এর, মঙ্গলেই হাজিরার নির্দেশ