বারবার নিজের আবেগের কাছে পরাজিত আমি: শ্রীলেখা মিত্র

Sreelekha Mitra: একটি কুকুর ছানাকে দত্তক নিলে ডেটে যাবেন শ্রীলেখা। এটাই ছিল একমাত্র শর্ত। আর সেটাই হল কাল।

বারবার নিজের আবেগের কাছে পরাজিত আমি: শ্রীলেখা মিত্র
শ্রীলেখা মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 1:05 AM
একটি কুকুর ছানাকে দত্তক নিলে ডেটে যাবেন শ্রীলেখা। এটাই ছিল একমাত্র শর্ত। আর সেটাই হল কাল। বিশ্বাস করতে পারছেন না শ্রীলেখা, যে কুকুর ছানাটি আর এই পৃথিবীতে নেই।
শশাঙ্ক নামের এক যুবক কুকুর ছানাটিকে দত্তক নিয়েছিলেন। শর্ত মতো, শ্রীলেখাও তাঁর সঙ্গে ‘পসাম ডেট’-এ গিয়েছিলেন। পরবর্তী ঘটনা সকলেরই জানা হয়ে গিয়েছে। পথ কুকুরটি মারা গিয়েছে। দময়ন্তী সেন নামের যে মহিলা তাঁকে দত্তক দিয়েছিলেন, তিনি লাইভে এসে জানিয়েছেন, শশাঙ্ককে তিনি ছাড়বেন না। এই ঘটনার পর শশাঙ্ক মার খেয়েছে।

 

এদিকে শ্রীলেখার ফেসবুক ভরে উঠেছে তাঁর একের পর এক পোস্টে। কুকুর ছানার শোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না অভিনেত্রী। নিজেকে দোষী বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। বেড়াতে গিয়েও তাঁর মন পড়ে আছে কলকাতাতেই। তাঁর চার পায়ের সন্তানদের কাছে। ফেসবুক পোস্টেও মানুষের সঙ্গে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। শশাঙ্ক এক রেড ভলেন্টিয়ার। সেই কথা উল্লেখ করেছেন শ্রীলেখা। এক ব্যক্তি তাঁকে কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, “উপসংহারে শুধু একটাই কথা বলব, যে ছেলেটি আপনার থেকে সন্তান নিয়েছিল, সে একজন ‘সাধারণ মানুষ’ হিসেবে নিয়েছিল। ‘রেড ভলেন্টিয়ার’ শব্দটা বারবার কেন আসছে? সে বিজেপি করতে পারত, সে তিনু, আম যা খুশি করতে পারে। আপনি বলছেন ‘রেড ভলেন্টিয়ারের নামে কলঙ্ক’। বিশ্বাস করুন, এতে পার্টিরই ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কারণ, এত গভীরে গিয়ে কেউ কিছুই ভাবে না।”

 

 

এর পর শ্রীলেখার পোস্ট, “কারও নিজের বাচ্চা মারা গেলে সে নিজের মাথাটা ঠান্ডা রাখতে পারত কি? না আমি জাস্টিফাই করছি না যাঁরা ওই ছেলেটিকে মেরেছে, তাঁদের। কিন্তু জানেন তো এই নোংরা রাস্তার কুকুরগুলো আমাদের সন্তানের মতো। তাই সন্তানের মৃত্যুতে তাঁরা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিল। আপনাদের হলে আপনারা কী করতেন? আর হ্যাঁ, আমার কে কী বলল, তাতে আমার সত্যি কিছু যায় আসে না। যখন সবাই দলে দলে বিজেপি বা টিএমসিতে যোগ দিয়েছিল, তখন শ্রীলেখা ছিল সিপিএম-এর প্রচারে। তাই নিজেকে ছাড়া কারও কাছে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না…” একটি লাইভও করেছেন শ্রীলেখা। সেখানেও একই কথা লিখেছেন তিনি।
অভিনেত্রীর কথার ভিত্তিতেই শশাঙ্ককে কুকুরটি দত্তক দিয়েছিলেন দয়মন্তী। শশাঙ্ককে নিয়ে নাকি তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। তাই বারবার ছানাটির খবরই নিতেন। পুরনো ভিডিও পাঠিয়ে শশাঙ্ক আশ্বস্ত করতেন দময়ন্তীকে। সন্দেহের বশেই খোঁজ নিতে গিয়ে দময়ন্তী জানতে পারেন কুকুর ছানাটি মারা গিয়েছে। তারপর নিজেকে আর সামালাতে পারেননি তিনি। দময়ন্তীর এই পোস্ট দেখে অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করেছেন শ্রীলেখা। তাঁর লাইভটি শেয়ার করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, “সরি দময়ন্তী, এরকমটা হবে ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি।”
শ্রীলেখা এখন জুরিখে। কিছুদিন আগে সুইৎজারল্যান্ডের এই শহরে গিয়েছেন শ্রীলেখা। তার মধ্যেই এই দুঃসংবাদ। নিজের কমপ্লেক্সেও পথ কুকুরদের প্রতিপালনের জন্য কম লড়াই করতে হয়নি শ্রীলেখাকে। তিনি নিজেও দুটি পথ কুকুরকে দত্তক নিয়েছেন – করণ ও আদর। তাঁর বাড়ি গেলে এই দুই ছানাই সকলকে স্বাগতম জানায়। বুঝিয়ে দেয়, নিজেদের বাড়িতে তারা ভাল আছে।